সহকারি অধ্যাপক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। এনিয়ে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে, সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হয়েছে। উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগও। সেইসঙ্গে, কোনও রকমের প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারী।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ে সহকারি অধ্যাপকের জন্য আবেদন জানান সঞ্জীব রজক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিষয়ে সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেইমতো আবেদন করেছিলেন সঞ্জীব রজক। প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে তিনি চম্পাহাটি সুশীল কর কলেজে বাংলা ভাষার সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ওই অধ্যাপক সম্পূর্ণভাবে দৃষ্টিহীন। তাঁর অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক নিয়োগে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য একটি পদ সংরক্ষিত ছিল।
সেই পদেই তিনি আবেদন করেছিলেন। এরপর গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের শিক্ষণের ক্ষমতা এবং ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ করার কথা জানিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার। নিজের সমস্ত নথি নির্বাচক কমিটির কাছে জমাও দিয়েছিলেন ওই মামলাকারী। এরইমধ্যে তিনি জানতে পেরেছেন সেখানে অন্য কাউকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, যে ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে তার বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে শংসাপত্র ভুয়ো।
এ নিয়ে তিনি একাধিকবার উপাচার্য, রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিয়েও কোনও লাভ হয়নি শেষ পর্যন্ত তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। এই মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিন সপ্তাহ পরেই রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি সঞ্জীব প্রামাণিক জানান, বাংলা বিভাগে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন। যদি আদালতে স্বজনপোষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।