শিক্ষক শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে সেচ দফতরের এক কর্মীর পদোন্নতি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আরও অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। সেচ দফতরের ওই কর্মী ৬০০ দিনের বেশি ছুটিতে ছিলেন। অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স রিপোর্ট বা এপিআরে তার প্রাপ্তি শুন্য। তারপরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কীভাবে তাকে পদোন্নতি করা হল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন সেচ দফতরের কর্মী অফিসারদের একাংশ।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সেচ দফতরের দামোদর ডিভিশনের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় ২০১২ সালে গ্রেফতারি পরোনা জারি হয়েছিল। এরপর ২০১৩ সাল থেকে ওই কর্মী কার্যত বেপাত্তা হয়ে যান। সব মিলিয়ে নথি অনুযায়ী ওই কর্মী ৬৭২ দিন ছুটি নিয়েছিলেন। সাধারণত একটানা এতদিন ছুটি নেওয়ার উদাহরণ সেরকমভাবে নেই। উল্টে সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত, সার্ভিস ব্রেক বা সাসপেন্ড করার নিদান রয়েছে। কিন্তু, ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এপিআর জমা দেওয়ার জন্য বিভাগীয় অফিসারদের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বিভাগীয় অফিসাররা জানিয়ে দেন যে ওই কর্মী ২০১৪ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত পুরোপুরি অনুপস্থিত ছিলেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে যে কর্মী অনুপস্থিত ছিলেন তার পারফরম্যান্স রিপোর্ট তৈরি হওয়ারই কথা নয়। তারপরেও কেন সেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হলো? আধিকারিকরা বলছেন, এই সমস্ত ক্ষেত্রে যদি সার্ভিস রেগুলারও হয় তাহলেও সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মীর সিনিয়রিটি দু'বছর পিছিয়ে যাওয়ার কথা। তা সত্ত্বেও ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ওই কর্মীর এপিআর জমা দিতে বলা হয় বিভাগীয় অফিসারদের। জানা যাচ্ছে, ওই অফিসার এবার প্রমোশন পেয়ে গেজেটেড অফিসার হয়ে যাবেন। এ বিষয়ে সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেছেন, ‘এ বিষয়টি আমি শুনেছি। দফতরের প্রধান সচিবকে আমি এ বিষয়ে ফাইল খতিয়ে দেখতে বলেছি।’