আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গতকাল শহর জুড়ে নানান কর্মসূচি হয়। সখানে অংশ নেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক। এমনই একটি কর্মসূচি হয়েছিল টালিগঞ্জ এলাকার করুণাময়ীতে। নাগরিক সমাজের সেই মিছিলেই নাকি হামলা চালানো হয়। আর সেই হামলার ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূরের দিকে। অভিযোগ, রত্নার অনুগামীরা প্রতিবাদীদের ওপর হামলা করে। এমনকী মিছিলে থাকা মহিলা, শিশুদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে হরিদেবপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান অভিযোগকারীরা। (আরও পড়ুন: মহালয়ার দিন ভোর হতে না হতেই বৃষ্টি কলকাতায়, আজ বাংলার আবহাওয়া কেমন থাকবে?)
আরও পড়ুন: মহালয়ার আগেই চরম ব্যস্ত পুলিশ, ৫ ঘণ্টায় ৪ নির্দেশিকা জারি নগরপাল মনোজের
এমনিতেই আরজি কর কাণ্ডের আবহে অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এদিকে বারণ সত্ত্বেও বহু নেতাই এই ইস্যুতে বেফাঁস কথা বলে ফেলছেন। এদিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এরই মাঝে করুণাময়ীর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এছাড়াও এর আগে একাধিক রাত দখলের কর্মসূচিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। টালিগঞ্জের এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োতেই এক মহিলাকে বলতে শোনা যায়, পুলিশের অনুমতি নিয়েই তাঁরা মিছিল বের করেছিলেন। সেখানে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রত্না শূরের অনুগামীরা নাকি হামলা চালিয়েছেন মিছিলে। এর আগেও কোচবিহার, নৈহাটি সহ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। উদয়ন গুহ থেকে শুরু করে হুমায়ুন কবীরের মতো নেতারা বারংবার লাগামহীন ভাষায় হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এরই মাঝে মহালয়ার আগের রাতে খাস কলকাতায় ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠল মিছিলে তাণ্ডব চালানোর অভিযোহ।
ভিডিয়োতে সেই মহিলা অভিযোগ করেন, তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে স্থানীয় নেতারা এসে মিছিলে মেয়েদের হায়ে হাত তুলেছেন। কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক অসুস্থ বৃদ্ধের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে তাঁকে রিক্সায় বসেই আন্দোলনে সামিল হতে দেখা গিয়েছিল। তিনিও গতকালকের কর্মসূচিতে ছিলেন। সেই বৃদ্ধকেও নাকি মারতে গিয়েছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এমনকী এক শিশুকে দেখিয়ে দাবি করা হয়, তাঁকে মারধর করা হয়। এছাড়া মিছিলে থাকা মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এদিকে অপর এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কারও পোশাক ছেঁড়া তো কারও হাতে আঘাত। এই সবের মাঝেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। তাই হরিদেবপুর থানার সামনে প্রতিবাদ দেখানো হয়। অভিযোগ করা হয়, হামলার সময় তৃণমূল কাউন্সিলর নিজেও নাকি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা হুমকি দিয়েছেন প্রতিবাদীদের। তবে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি।