করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন স্বামী। হাসপাতাল থেকে এই খবর পেয়ে তাঁকে আনতে গিয়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু গিয়ে দেখলেন হাসপাতালের মর্গে রয়েছে স্বামীর দেহ। গত ৭ জুলাই এই ঘটনা ঘটেছে খাস কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ঘটনায় করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালটির সমন্বয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা প্রদীপবাবু মুখের ক্যান্সারের রোগী। মে-র শেষে তাঁর করোনা ধরা পড়ে এর পর তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। গত ৭ জুলাই হাসপাতাল থেকে প্রদীপবাবুর বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁকে ছুটি দিয়ে দেবেন চিকিৎসরা।
খুশির খবর পেয়ে প্রদীপবাবুকে আনকে হাসপাতালে যান তাঁর স্ত্রী ও পরিজনরা। এর পরই হয়রানির শুরু। গোটা হাসপাতালের সমস্ত ওয়ার্ডে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও প্রদীপ পালের খোঁজ মেলেনি। করোনা ওয়ার্ডের এক ওয়ার্ডবয় জানান তিনি ঘুমাচ্ছেন। বেশ কয়েকঘণ্টা ছোটাছুটির পর মৃত্যু হয়েছে প্রদীপবাবু। মর্গে রয়েছে প্রদীপবাবুর দেহ।
এখানেই হয়রানির শেষ নয়, এর পর সেই দেহ পরিজনদের হাতে দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়, ভুল করে করোনায় মৃতদের দেহের সঙ্গে রাখা হয়েছে দেহটি। তা থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে উঠলেও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রদীপবাবুর।
ঘটনায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতি ও সমন্বয়ের অভাবের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত রোগীদের খবর বাড়িতে পৌঁছতে গিয়ে মাঝে মাঝেই গুলিয়ে ফেলছেন হাসপাতালের কর্মীরা। করোনা ওয়ার্ডে সাধারণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। তাই হাসপাতালের কর্মীরাই এব্যাপারে ভরসা।