ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুডিশিয়াল সায়েন্সেস (এনইউজেএস)-এর উপাচার্যের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় উপাচার্য এন কে চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করার দাবি উঠল। এমন দাবি জানিয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে সম্প্রতি চিঠি লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসিমিতির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে উপাচার্যের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানতে পেরে আগেই ভারতের প্রধান বিচারপতি কাছে এই চিঠি পাঠায় পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: গৃহবধূর স্তনে জলের বোতল রাখার অভিযোগ, ডেবরায় শ্লীলতাহানিকাণ্ডে নাম জড়াল জওয়ানের
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে এক অধ্যাপিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগ ওঠার পরে একটি কমিটি গঠন হয়। তবে অনেক দেরিতে অভিযোগ জানানোর কারণ দেখিয়ে অধ্যাপিকার দাবি খারিজ করে দিয়েছিল সেই কমিটি। কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্ট কমিটিকে অভিযোগ পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল। মহিলার অভিযোগ, তিনি ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বেশ কয়েকবার যৌন হয়রানি করেছিলেন উপাচার্যের। আরও অভিযোগ, অধ্যাপিকার বেতন দিতে বিলম্ব করছেন উপাচার্য। এমনকী তাঁকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।
পড়ুন: শ্লীলতাহানি কাণ্ডে থানায় হাজিরা রাজভবন কর্মীদের, বয়ানে বিস্ফোরক দাবি ৩ জনের
পড়ুয়ারা চিঠিতে পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে উপাচার্যকে বরখাস্ত করতে হবে। তাছাড়া, উপাচার্য নিজেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটিকেও বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। উল্লেখ্য, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ইসির বৈঠকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইসির চেয়ারম্যান হলেন উপাচার্য।
কমিটি মহিলার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ কমিটিকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ বিবেচনা করতে বলেন। পড়ুয়াদের অভিযোগ, উপাচার্য আইনের অপব্যবহার করেছেন। তাঁদের দাবি, উপাচার্যকে সাময়িক বরখাস্ত করতে হবে। দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে দাবি পড়ুয়াদের। অন্যদিকে, এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই গুজরাট ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটির (জিএনএলইউ) ছাত্র সংগঠন এনইউজেএসের পড়ুয়াদের সমর্থন এগিয়ে এসেছে।