স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে অতিরিক্ত সুদের হার নেওয়ার অভিযোগ উঠতেই নবান্নর প্রশ্নের মুখে ব্যাঙ্কগুলি। গত শুক্রবার মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আমলারা। সেখানেই অতিরিক্ত সুদের হারের বিষয়টি উত্থাপিত করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া ঋণের ওপর ৪ শতাংশ হারে সুদ নেওয়া যাবে। তবে ৯ শতাংশ হারে সুদ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে। এই আবহে একাধিরক ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা প্রশ্নের মুখে পড়েন বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে স্বরাষ্ট্রসচিব। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার বার্তা দেন। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ঋণ দেওয়ার গতি মন্থর। এই আবহে নবান্নর তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এখনও পর্যন্ত স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যেসকল ঋণের আবেদন আটকে রয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলি ‘ক্লিয়ার’ করতে বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩৭ হাজার পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ব্যাঙ্কগুলি এখনও৪১ হাজার আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুমোদ দেয়নি। শুক্রবারের বৈঠকে এই ৪১ হাজার আবেদন নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হল।
এদিকে রাজ্য সরকারের বহু প্রকল্প এবং স্কিমের টাকা ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমেই প্রাপকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেই স্কিমগুলির কাজকর্ম নিয়েও শুক্রবার নবান্নে পর্যালোচনা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই সরকারি স্কিমগুলির পরিষেবা দিতে দেরি করছে ব্যাঙ্কগুলি। এই আবহে ওই বৈঠকে সরকারের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন পরিষেবা দিতে দেরি করছে ব্যাঙ্কগুলি? ব্যাঙ্কের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, আর্টিসান ক্রেডিট কার্ডসহ একাধিক প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় সরকারের তরফে।