ডায়মন্ডহারবারে একেবারে বিচারকের আবাসনের হামলার অভিযোগ। অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। বুধবার ডায়মন্ডহারবার এডিজের ঘরে জেলা পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে জেলা বিচারকের বৈঠক হয়। এদিকে এই হামলার পেছনে এক পুলিশের নাম সামনে আসে। এরপরই পুলিশ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে। এবার ক্লোজ করা হল সেই সাব ইনসপেক্টরকে। তবে সূত্রের খবর, আবাসনের সরাসরি কোনও হামলার ঘটনা হয়নি। হামলার আশঙ্কা ছিল।
পৈলান পুলিশ হেডকোয়ার্টারের কুমারেশ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বিচারকের আবাসনে হামলার অভিযোগের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তার। এমনকী বিচারপতি থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও সেখানেও গড়িমসি করা হয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে বিচারক কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি পাঠায়।
তবে পুলিশের নাম সামনে আসতেই তদন্ত শুরু হয়। তারপরেই সেই এসআইকে ক্লোজ করা হয়েছে।
ডায়মন্ডহারবারের এসপি রাহুল গোস্বামী জানিয়েছেন, অনভিপ্রেত ঘটনা। কয়েকজন দুষ্কৃতী মুখ ঢাকা অবস্থায় আবাসনের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছে। তেমনটাই দেখা গিয়েছে। ঘটনা জানার পরে আইসি সেখানে উপস্থিত হন। যে সিকিউরিটি ছিলেন তাদের সবার সঙ্গে কথা বলেন। প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে একজনকে আটক করা হয়েছে। বিচারকদের আবাসনের সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। মেটাল ডিটেক্টর বসানো হচ্ছে। আশঙ্কা থেকে একটা অভিযোগ এসেছিল।
এবার এনিয়ে কেন্দ্রীয় আইন প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়ালকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। মূলত জেলা আদালতের বিচারপতিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই চিঠি দিয়েছেন তিনি। সুকান্ত লিখেছেন, আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ডায়মন্ড হারবার সংসদ এলাকায় তৃণমূল সরকারের আমলে জেলা আদালতের বিচারপতিদেরও হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। রাতে ডায়মন্ডহারবারে বিচারপতিদের আবাসনে একটি পরিকল্পিত হামলা হয়েছে বলে খবর। মুখোশ পরা দুষ্কৃতীরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল,একজন পুলিশ আধিকারিক ওই ব্যক্তিরা যাতে ভেতরে ঢুকতে পারে সেকারণে নিরাপত্তাকর্মীদের উপর চাপ দিয়েছিলেন।( সেই পুলিশ আধিকারিকের নামও উল্লেখ করে দিয়েছেন সুকান্ত)।
সুকান্ত লিখেছেন, বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। এই হামলার পেছনে পসকো সংক্রান্ত কোনও রায়ের জের হতে পারে। যদি পুলিশ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে যান তবে এই পশ্চিমবঙ্গে ন্যায় বিচারের বিষয়টি কী হতে পারে?