রবিবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। বেলা যত গড়াচ্ছে ততই পুরভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কলকাতা। নির্বাচন কমিশন রাজ্য পুলিশের দ্বারাই শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়া সম্ভব বলে দাবি করলেও ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে কার্যত বিক্ষিপ্ত ছবি ধরা পড়ছে কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার যেমন অভিযোগ উঠেছে তেমনই বুথ থেকে প্রার্থীকে বের করারও অভিযোগ উঠেছে বাগবাজারে। পাশাপাশি, এই সমস্ত অভিযোগকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে প্রার্থীর ধস্তাধস্তিও হয়। সাত নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী রূপা চৌধুরী এমনই অভিযোগ তুললেন। সেইসঙ্গে বাগবাজারের এই ওয়ার্ডে বিজেপির পক্ষ থেকেও একই অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রূপা চৌধুরী নিজেই এদিন বুথে পোলিং এজেন্ট হিসেবে বসতে গিয়েছিলেন। প্রথমে তাকে বসতে দেওয়া হয় এবং প্রার্থীরা পোলিং এজেন্ট হিসেবে বসতে পারবে না এই দাবি জানিয়ে পরে তাকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রিসাইডিং অফিসারের বক্তব্য, তিনি নিয়ম জানতেন না বলে প্রথমে তাকে বুথে বসতে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য তাকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
নির্দল প্রার্থীর এই অভিযোগের মধ্যেই ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী ব্রজেশ ঝা। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল ছাপা ভোট করার জন্যই অন্যান্য দলের এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দিচ্ছে। এই সমস্ত অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রিসাইডিং অফিসার এবং বুথের অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় নির্দল এবং বিজেপি প্রার্থীর।
পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হতে থাকে। এরপরেই সেখানে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয়। সেখানে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বিজেপি প্রার্থীর। অবাধ ভোট হচ্ছে না বলে দাবি করেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তিও হয়। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, অন্যান্য দলের এজেন্টদের কলার ধরে বাইরে বার করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিজেপিত্যাগী কাউন্সিলর বাপী ঘোষ। বিজেপির প্রার্থীর এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।