বর্তমানে জমি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়গুলিকে ডিজিটাল করার চেষ্টা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সরকারি অ্যাপে গেলে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলেই আপনার জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপনি পেতে পারেন। এদিকে তৃণমূল জমানায় শুরু হয়েছে বাংলার ভূমি নামে একটি অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে জমি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মেলে। সরকারি এই ব্যবস্থাপনার মাধ্য়মে জমি সংক্রান্ত স্বচ্ছতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। সরকারি পোর্টালের মাধ্য়মে জমি সংক্রান্ত বহু কাজ করা সম্ভব। তবে এবার তারই সুযোগ নিয়েছে প্রতারকরা।
সূত্রের খবর, বাংলার ভূমি না দিয়েই একাধিক ভুয়ো অ্যাপ চালু করা হয়েছে। আর এই অ্যাপের খপ্পরে পড়লেই সব শেষ। সূত্রের খবর, বাংলার ভূমি নাম দিয়ে অন্তত চারটি অ্য়াপ বর্তমানে চালু রয়েছে। এগুলির সঙ্গে সরকারের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কোনও যোগ নেই। কার্যত লোক ঠকানোর জন্য এই অ্যাপগুলি তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী জমি সংক্রান্ত অন্যান্য নামেও অ্য়াপ ঘুরছে মোবাইলে।
তবে এই সব বেসরকারি অ্যাপের তথ্য কতটা সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কারণ কোনওভাবে একটা তথ্য হয়তো ওই অ্যাপে সংযোজিত করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলিকে আপডেট করা কার্যত অসম্ভব। কারণ ই ভূচিত্র নামে একটি সফটওয়ারের মাধ্য়মে সরকারি আধিকারিকরা প্রয়োজনে তথ্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে পারেন। এক্ষেত্রে বেসরকারি কারোর পক্ষে এটা করা সম্ভব হয় না। এদিকে আপডেট হওয়ার পরে তা বাংলার ভূমি ও জমির তথ্য নামে দুটি পোর্টালে আপডেট হয়ে যায়। কিন্তু সেটা কোনওভাবেই বেসরকারি অ্যাপে হওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সরকারি অ্যাপ ও পোর্টালের উপর ভরসা করা দরকার বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ আধিকারিকরা। না হলে সমস্যা হতে পারে।
এমনকী একাধিক ক্ষেত্রে এই বেসরকারি অ্যাপের তথ্য দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন জমির মালিকরা। সেখানে দেখা যাচ্ছে জমির তথ্য়ে বদল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই তথ্যে কোথাও কোনও বদল নেই।
তবে যে অ্যাপগুলিতে এই ধরনের ভুয়ো তথ্য থাকছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখছেন আধাকারিকরা। কারণ সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে যে তথ্য মেলে সেটাই আসল। সেখানে কোনও কারচুপি করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সবসময় সরকারি অ্যাপের উপর ভরসা করার জন্য বলা হচ্ছে। কারণ বেসরকারি অ্যাপের তথ্যে ভুল থাকতে পারে।