৫০ বন্দির জন্য় ১টি টয়লেট সংশোধনাগারে, VIP বন্দিদের জন্য কেমন ব্যবস্থা থাকে?

ভোর থেকেই সেই শৌচাগারের সামনে লম্বা লাইন পড়ে বন্দিদের। তার উপর আবার কোর্টের ডেট পড়লে তো রেহাই নেই। একেবারে নির্দিষ্ট সময়ে বেরতে হয় তাদের। কিন্তু টয়লেট তো খালিই হয় না। এর জেরে মাথায় হাত পড়ে বন্দিদের অনেকেই।

বন্দি প্রতীকী ছবি

ঘরে ঘরে শৌচাগার করার জন্য গোটা দেশজুড়ে নানা উদ্যোগ। বাংলার গ্রামে, শহরেও রয়েছে এই উদ্যোগ। কিন্তু জেলবন্দিদের জন্য টয়লেটের ঠিক কেমন ব্য়বস্থা থাকে? এনিয়ে এবার সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য়? আর সেই নিরিখে সামনে এসেছে মালদার সংশোধনাগারের শৌচাগারের চরম অব্যবস্থার কথা। সূত্রের খবর, মালদায় ৩৫৩জন বন্দি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এখানে রয়েছেন প্রায় ১০৩৭জন। সাধারণত প্রতি দশ জনের জন্য একটি করে টয়লেট থাকার দরকার সংশোধনাগারে। কিন্তু বাস্তবে একাধিক সংশোধনাগারে সেই ব্যবস্থা নেই। এমন পরিস্থিতিও দাঁড়াচ্ছে ৫০জন বন্দির জন্য় বরাদ্দ হচ্ছে একটি মাত্র টয়লেট। এতেই চিন্তায় ঘুম উড়ছে অনেকের।

এমনকী ভোর থেকেই সেই শৌচাগারের সামনে লম্বা লাইন পড়ে বন্দিদের। তার উপর আবার কোর্টের ডেট পড়লে তো রেহাই নেই। একেবারে নির্দিষ্ট সময়ে বেরতে হয় তাদের। কিন্তু টয়লেট তো খালিই হয় না। এর জেরে মাথায় হাত পড়ে বন্দিদের অনেকেই। কার্যত ভয়াবহ অবস্থা। সকালে উঠে টয়লেটের সামনে একেবারে লম্বা লাইন। আর সেই লাইনে বচসাও বেঁধে যায়। হাসি রসিকতাও চলে পুরোদমে। 

সূত্রের খবর, মালদার পাশাপাশি বহরমপুর, লালবাগ, কৃষ্ণনগর, দমদম, বসিরহাট, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, রায়গঞ্জে টয়লেটের সমস্য়া রয়েছে। কবে এই সমস্য়া মিটবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে শৌচাগারের সংখ্যা বৃদ্ধি করার ব্যাপারে আশ্বাস মিলেছে। 

আসলে জায়গার তুলনায় বন্দির সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে জেলগুলিতে। তার জেরে পরিস্থিতি বিগড়ে গিয়েছে ক্রমশ। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে এই দুর্ভোগটা কেবল মাত্র সাধারণ বন্দিদের ভুগতে হয় বলে খবর। ভিআইপি বন্দিদের জন্য় অবশ্য় আলাদা ব্যবস্থা থাকে। এমনকী কিছুক্ষেত্রে কমোডেরও ব্যবস্থা থাকে বলে খবর। 

এদিকে রাজ্য়ের একাধিক নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী বর্তমানে জেলবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদেরও কি টয়লেট নিয়ে এমন নাকানিচোবানি খেতে হয়? একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত খবর অনুসারে জানা গিয়েছে, রাজ্য়ে চিটফান্ড কান্ডে ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পরে জেলবন্দি অবস্থায় দিন কাটানো বন্দিদের অনেককেই এই পরিস্থিতির মধ্য়ে পড়তে হয় না। তাদের কয়েকজনের জন্য আবার আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থাও রয়েছে। সচরাচর তাদের এভাবে শৌচাগারের বাইরে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় না।