শিক্ষা দফতরের কেলেঙ্কারির জেরে কার্যত লেজেগোবরে অবস্থা রাজ্য সরকারের। আগের গোটা শিক্ষা দফতরই গরাদের আড়ালে। আর সেই পরিস্থিতিতে এবার আলিপুরে কারা দফতরের জমি বিক্রি নিয়ে বিরাট কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এনিয়ে রাজ্যপালের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। রাজ্যপালের কাছে তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি তাঁর টুইটে লিখেছেন, আলিপুর সংশোধনাগারের ৫.৬ একর আয়তনের জমি আলিপুর গ্রিন সিটি ডেভেলপমেন্টের আওতায় অত্যন্ত কম দামে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তদন্ত চেয়ে রাজ্য়পালের কাছে চিঠি জানিয়েছি। যার ফলে ৮৭৬ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। তিনি সেই চিঠিতে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে আলিপুরের ওই জমিটি কম দামে ৯৯ বছরের জন্য় লিজ দিয়েছে। ৮৭৬ কোটি টাকার জমি মাত্র ৪১৪ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
এনিয়ে রাজ্যপালের কাছে তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বর্তমানে কারামন্ত্রী রয়েছেন অখিল গিরি। তিনি মাঝেমধ্য়েই শুভেন্দুকে নিশানা করে তির ছোঁড়েন। তবে কি এবার পালটা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক? তবে কি শুভেন্দুর এই পত্রবোমাতে আরও চাপে পড়বেন অখিল গিরি? এর সঙ্গেই প্রশ্ন তদন্ত কি হবে?
সূত্রের খবর, আলিপুর সংশোধনাগার বর্তমানে বারুইপুরে চলে গিয়েছে। সেই ভবনের কিছুটা অংশে বর্তমানে একটি মিউজিয়াম করা হয়েছে। কলকাতার অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে এই জায়গাটিকে। অনেকেই এই মিউজিয়াম দেখতে আসছেন। তবে সেই মিউজিয়ামের পাশেই বিস্তীর্ণ এলাকায় তৈরি হচ্ছে আবাসন প্রকল্প। শুভেন্দুর দাবি, মুম্বইয়ের একটি সংস্থার কাছে অত্য়ন্ত কম দামে এই জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
তবে কারামন্ত্রী একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সব নিয়ম মেনেই ওখানে আবাসন প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি নেই। অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই বলে মনে করি। তবে যে কেউ অভিযোগ করতেই পারেন।
এদিকে সূত্রের খবর, ওই জায়গায় প্রায় ৩২৫-৩৫০টি ফ্ল্যাট তৈরি হবে। শুভেন্দুর অভিযোগ রাজ্য়ের একাধিক মন্ত্রী এই প্রকল্প থেকে লাভবান হবেন। এমনকী একাধিক আমলাও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা। তবে এবার তদন্ত আদৌ হয় কি না সেটাই দেখা