বারুইপুর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসককে রীতিমতো হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এক যুবতীর বিরুদ্ধে। তিনি নিজেকে তৃণমূলের নেত্রী বলে পরিচিতি দেন। এরপর তিনি রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেন। চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত মুনমুন মোল্লা নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেত্রী পরিচয় দিয়ে তিনি চিকিৎসককে নানাভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। এমনকী ওই চিকিৎসকের চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি। এনিয়ে ক্ষিপ্ত রোগী ও তাঁদের পরিজনরাও।
ঘটনার সময় যে রোগীরা ছিলেন তাঁরা বারুইপুর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। রোগী ও তাঁদের আত্মীয় স্বজনরাই রুখে দাঁড়ান ওই মহিলার বিরুদ্ধে। এরপর পুলিশ তাকে আটক করতে বাধ্য় হয়। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে।
মুনমুন মোল্লা নামে ওই যুবতী বলেন, আমাদের একটা বাইরের প্রজেক্ট চলছে। আমেরিকার। স্য়ার বলেছে বুকের এক্সরে হবে না। ১০জনের বেশি করা যাবে না। লাইনে অনেকজন ছিলেন। আমাদের বলা হল বাইরে চলে যাও। ১টার সময় ডেকে নেব। আমরা ওখানে বসে লুডো খেলছিলাম। এরপর বলল আবার লাইনে দিতে হবে। এরপর বললেন চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এককথা দুকথার মধ্য়েই তিনি বললেন গরু ছাগল, আমি তখন বলেছি গরু ছাগল আমরা নাকি আপনি? এরপর আমাদের বলল বেরিয়ে যা। আমরা বললাম আপনার চাকরি কী করে থাকে দেখব! আপনি শিক্ষিত ডাক্তার হয়ে আমাদের বলছেন গরু ছাগল। আমি বলেছি চাকরি কী করে থাকে দেখব! আমি সব সিস্টেম জানি।
ওই চিকিৎসকের দাবি, উনি এসে দাবি করছেন আগে ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে হবে। উনি বললেন আপনি আমাদের সরকারের চাকরি করছেন। আপনার চাকরি খেয়ে নেব। পরে জানলাম তিনি রোজই এখানে আসেন।
রোগীর আত্মীয়রা বলেন, বারুইপুরে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। সেই ডাক্তারকে এসে হুমকি দিচ্ছেন ওই মহিলা। আমরা তার কঠোর শাস্তি চাই। অপর এক রোগী অনুশ্রী রায় বলেন, চিকিৎসক লাইন থাকা রোগীদের দেখছিলেন। এদিকে মেডিক্যাল করার জন্য ওই মহিলা কয়েকজনকে নিয়ে এসেছিলেন। চিকিৎসক বলেছিলেন দুপুর ১টার পরে আমি দেখে দেব। এরপর দুপুর ১টার পরে ওই মহিলা টেবিল চাপড়ে বলছেন এই তোর চাকরি খেয়ে নেব। কী বিরাট হুমকি দিচ্ছে। কী সব পদের কথা বলছেন তিনি। ক্ষমতা দেখাচ্ছিলেন তিনি।