মাঝেই মাঝেই দীঘা বা বাংলার কোনও সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকের মৃক্যুর খবর আসে কিছু না কিছু খাওয়ার জেরে। কাঁকড়া বা চিংড়ি খেয়ে অ্যালার্জিতেও ভোগেন অনেকে। এই আবহে কাঁকড়া, চিংড়ি, দধ, বাদামের মতে আটটি পণ্যের বেচাকেনার নিয়ম বদল করেছে রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কাঁকড়া, চিংড়িমাছ, কচ্ছপ, শামুক, গরুর দুধ, বাদাম, সয়াবিন ও গমকে এখন থেকে ‘অ্যালার্জি প্রোডাক্ট’ হিসাবে চিহ্নিত করতে চলেছে রাজ্য।
সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে এই আটটি পণ্য বিক্রি করতে হলে সতর্কীকরণ হিসাবে ‘অ্যালার্জি’ শব্দটি লিখতে হবে। রান্না করা হোক বা কাঁচা অবস্থায়, এই পণ্য বিক্রি করতে গেলে এই নিয়ম মানতে হবে। প্রাথমিক ভাবে বড় রেস্তোরাঁতে এই নিয়ম লাগু করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এই নিয়ে সমুদ্র উপকূলের হোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই তাজপুরে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে কাঁকড়া খেয়ে প্রাণ যায় এক পর্যটকের। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ১৫ মে সকালে তাজপুরে ঘোরাঘুরি করার পর স্থানীয় একটি হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করেন। সেখানে কাঁকড়া খেয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁর শরীরে সমস্যা দেখা দেয়। শ্বাসকষ্ট ও পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর সমুদ্রে নামার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ধরনের ঘটনা এড়াতেই এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য। এর আগেও দীঘা, মন্দারমনিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।