সরকরারের তরফে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারির পরেও রাস্তায় সেভাবে দেখা মিলল না বেসরকারি বাসের। আর এই পরিস্থিতিতে নাজেহাল শহরবাসী। সরকারি বাসে করে ভিড়ের মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে করোনা বিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না যাত্রীদের পক্ষেও। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও মিলছে না বাস। এই আবহে শনিবার পরিবহণ মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম বাস মালিকদের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, 'সমস্যা হচ্ছে জানি। সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অনেক বার বাস মালিকদের বাস চালানতে বলেছি আমরা। তাঁরা যদি কথা না শোনেন তাহলে কঠোরতম সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে।'
এদিকে ভাড়ার জট কাটাতে সোমবার বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম। ময়দানে পরিবহণ দফতরের তাঁবুতে বাস মালিকদের সংগঠনগুলির সঙ্গে হবে এই বৈঠক। তবে গত কয়েকদিনে বাস মালিকরা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বাসের ভাড়া না বাড়লে বাস চলবে না।
উল্লেখ্য, প্রায় রোজ বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। তাই সরকারি ছাড় পাওয়া সত্ত্বেও করোনাকালে অধিকাংশ বাসই রাস্তায় নামেনি। বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছেন মালিকরা। অভিযোগ উঠেছে, অনেক জায়গাতে বাস চালানো হলেও বেশি ভাড়া নেওয়া হয় যাত্রীদের থেকে। এর আগে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল রাজ্যে। তবে সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে বাসে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী নেওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করেও বাস না-পেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্যাক্সিতে চড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সব মিলিয়ে বাস মালিক, চালক, খালসিদের দাবি, যতদিন না সরকার বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করছে ততদিন তাঁরা বাস নামাবেন না রাস্তায়। এই অবস্থায় অফিস যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে আসরে নামছে সরকার। তবে দেখার বিষয়, সোমবারের বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে কি না।