ভালো আবহাওয়ার কারণে গত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর রাজ্যে ব্যাপক পরিমাণে আলু উৎপাদন হয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় আলুর উৎপাদন গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতার বাজেরে নতুন আলু ঢুকতে শুরু করেছে। তারপরেও কলকাতার বাজারে আলুর দাম এখনও যথেষ্টই বেশি। কারণ অনেক ব্যবসায়ী প্রচুর পরিমাণে আলু কিনে গুদামে মজুদ করে রাখছেন এবং কৃত্রিমভাবে আলুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতারা।
কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় এই বছর ১.২ কোটি টন আলু উৎপাদন হয়েছে। গত বছর হয়েছিল ৮০ লক্ষ টন এবং ২০২১ সালে উৎপাদন হয়েছিল ১.১ কোটি টন আলু। কিন্তু, ফসল উৎপাদন বেশি হলে যে ক্রেতারা কম দামে কিনতে পারবেন তা নয় বলেই জানিয়েছেন এক আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য প্রদ্যুত দাস। তিনি বলেন, ‘মিডলম্যানরা আলু থেকে সর্বাধিক লাভ করে থাকেন। এর ফলে সমস্যায় পড়ছেন কৃষক এবং ক্রেতারা। একদিকে যেমন কৃষকরা চাষের খরচ তুলতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন, অন্যদিকে, ক্রেতারা আলু কিনতে গেলেই পকেটে টান পড়ছে।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে আলুর ফলন সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। এবারও এই সমস্ত জেলাগুলিতে গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি আলুর ফলন হয়েছে। তবে কৃষকরা আলু বিক্রি করছেন ৫ টাকা কেজি দরে, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় অনেক কম। আবার সেই আলু খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে। এক আলু চাষির আশঙ্কা, পাইকারি দাম আরও কমে যাবে। কারণ সবেমাত্র মাঠ থেকে আলু ওঠা শুরু হয়েছে। তবে দাম না ওঠায় তিনি চিন্তিত। ওই চাষি জানান, গত বছর আলুর ফলন কম ছিল। তবে দাম স্থিতিশীল থাকায় আলু চাষিরা লাভ করতে পেরেছিলেন। যদিও শহরের খুচরো বিক্রেতারা আলুর দাম কতটা কমবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এক আলু বিক্রেতার কথায়, পাইকারি দাম যেভাবে কমছে খুচরো দাম সেইভাবে কমছে না। গত বছর কম ফলনের কারণে আলুর দাম অনেক বেশি ছিল। তবে এবার উৎপাদন বেশি হওয়া সত্ত্বেও আলুর দাম সেইভাবে কমছে না। এমনকী পাঁচ-ছয় বছর আগেও আলুর দাম ছিল। প্রতি কেজি আলুর দাম ১০ টাকার নিচে নেমে যেত। এবিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছেন ব্যবসায়ীরা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup