ট্যাব কেলেঙ্কারিতে আরেক দফা নাক – কান কাটা গেছে রাজ্য শিক্ষা দফতরের। ফাঁস হয়ে গিয়েছে সরকারি ওয়েব পোর্টালের নিরাপত্তার বেহাল দশা। নিজেদের অকর্মণ্যতা ঢাকতে কখনও প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কখনও হ্যাকারদের দিকে আঙুল তুলছে শিক্ষা দফতর। এসব ঝক্কি থেকে বাঁচতে এবার ট্যাবের জন্য টাকা পাঠানোর অ্যাকাউন্ট আপডেট করার দায়ই ঝেড়ে ফেলল তারা।
আরও পড়ুন - কালো কাঁচ ঢাকা গাড়িতে আদালতে সঞ্জয়, রাস্তায় গ্রিন করিডর, মুখ খুলতেই নয়া ব্যবস্থা?
পড়তে থাকুন - সব ক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া আছে,বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন প্রতিবাদ সভায় বললেন শুভেন্দু
একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, রাজ্য শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবার থেকে প্রধান শিক্ষকরা আর ট্যাবের তথ্য পোর্টালে আপলোড করবেন না। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর থেকে নিজের যাবতীয় তথ্য আপলোড করবে পড়ুয়ারাই। ফলে ভুলত্রুটি হলে দায় বর্তাবে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার ঘাড়ে। শিক্ষক সংগঠনগুলির একাংশ এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একজন নাবালকের হাতে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় স্বাধীন ভাবে ছেড়ে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত। কারণ, বর্তমানে একাদশ শ্রেণিতে ট্যাবের টাকা দেয় সরকার। আর একাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা প্রায় সবাই নাবালক। প্রশ্ন উঠছে, তার পর কোনও গরমিল বা দুর্নীতি হলে তো যাবতীয় দুর্ভোগ পোহাতে হবে সেই পড়ুয়াকেই। এমনকী তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগও দায়ের হতে পারে। নিজেদের অকর্মণ্যতা ঢাকতে কেন ছাত্রছাত্রীদের এই ঝুঁকির মধ্যে ঠেলছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন - আধারে বিশ্বাস নেই মমতার,সেই আধারে ভরসা করেই ট্যাব প্রতারণা রোখার চেষ্টা নবান্নের
ট্যাব কেলেঙ্কারিতে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় চাষি ও দিনমজুরের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার হওয়া ১০ জনের মধ্যে ৬ জন উত্তর দিনাজপুরের। ৪ জন মালদার বাসিন্দা। এদের প্রায় সবাই সাইবার ক্যাফের মালিক। সেখানে বসেই কারচুপি হয়েছে বলে তদন্তে অনুমান।