চতুর্দিকে সমালোচনার মধ্যে আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। বুধবার নয়া দিল্লিতে সিবিআই সদর দফতরে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেন সংস্থার কর্তারা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সেই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষক ও খুনি সঞ্জয় রায়কে সোমবার আজীবন কারাবাসের সাজা শোনায় শিয়ালদা আদালত। এই মামলাকে বিচারক অনির্বাণ দাস বিরলের মধ্যে বিরলতম মানতে অস্বীকার করেন। একই সঙ্গে চোখের বদলে চোখ কোনও সমস্যার সমাধান নয় বলে আদালতে উল্লেখ করেন তিনি। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবারই আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।
ওদিকে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা না হওয়ায় সিবিআইয়ের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে থাকে। এতে সিবিআইয়ের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠে যায়। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে বুধবার দিল্লির দফতরে বৈঠকে বসেন সিবিআইয়ের পদস্থ আধিকারিকরা। সেখানে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওদিকে রাজ্য সরকারের দায়ের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেছে, এই আবেদনের ব্যাপারে নির্যাতিতার বাবা - মা অবগত কি না। জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, এব্যাপারে তাঁরা অবগত নন। তখন বিচারপতি বসাক স্পষ্ট করে দেন রাজ্য সরকারের এই মামলায় কোনও ভূমিকা নেই। বিচারপতি বসাকের পর্যবেক্ষণ এই আবেদনের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নির্যাতিতার বাবা মায়ের বক্তব্য শোনা প্রয়োজন।