রাজ্য–রাজনীতিতে এখন একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তা হল—অমিত মিত্রের কী হবে? কারণ একুশের নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তারপর উপনির্বাচনেও তাঁকে প্রার্থী হিসাবে দেখা যাচ্ছে না। অথচ মন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রিসভায় অমিত মিত্রের ভূমিকা কী হবে? তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েই অর্থ দফতরের উপদেষ্টা হিসেবে রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্ত্রিত্বের সময়সীমা শেষ হবে নভেম্বর মাসে।
অর্থমন্ত্রী হিসাবে তিনি ভালই চালিয়েছেন রাজপাট। তাই তাঁকে বাদ দিতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বয়স ও অসুস্থতা রয়েছে তাঁর। তাই এই বিকল্প পথের ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও একটা প্রশ্ন থেকে যায়। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী কে হবেন? এই উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী হতে অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অমিত মিত্র তাতে সম্মত হননি। তবে তিনি রাজ্যের কাজে সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন।
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অর্থমন্ত্রী ছিলেন অমিত মিত্র। রাজ্যের দায়িত্ব সামলানো এবং কেন্দ্রকে নানা চিঠি লিখে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছিলেন তিনি। আর্থিক সমস্যার মধ্যেও সরকারি প্রকল্পগুলি কার্যকর করেছিলেন তিনি। একদিকে রাজ্যের অর্থসঙ্কট, অন্যদিকে ঋণ পরিশোধ— এই দু’য়ের ভারসাম্য বজায় রেখেছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, অর্থ দফতরের প্রধান উপদেষ্টা পদে অমিতকে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া হবে। আর অর্থ দফতর নিজের কাঁধেই রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে একজন প্রতিমন্ত্রী রাখা হতে পারে। তবে সেটা কাকে করবেন তা গোয়া থেকে ফিরে ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার উপনির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা রদবদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনও ঠিক হতে পারে অর্থমন্ত্রী কে হবেন।