অর্জুন চৌরাসিয়া খুনে সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার দুপুরে কাশীপুরে অর্জুনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুর ২.৫০ মিনিট নাগাদ কাশীপুরে পৌঁছন শাহ। সেখানে অর্জুনের বাড়িতে কয়েক মিনিট তাঁর পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘অর্জুন চৌরাসিয়ার হত্যা রাজনৈতিক। গতকালই তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বর্ষপূর্তি হয়েছে। তারপরদিনই বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার ধারা ফের শুরু হয়েছে। গোটা বাংলায় যেখানেই যাই রাজনৈতিক হিংসা, প্রতিহিংসা থেকে খুন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বেছে বেছে নিশানা করার প্রচুর নজির আমরা দেখেছি। বিজেপি অর্জুন চৌরাসিয়ার হত্যার তীব্র নিন্দা করছে। যারাই এই খুন করে থাকুক, আমরা আদালতে গিয়ে তার শাস্তি নিশ্চিত করব’।
শাহের দাবি, ‘এই হিংসার বিরুদ্ধেই বিজেপি লড়ছে। কমিউনিস্ট জমানায় ও তার থেকেও বেশি তৃণমূলের জমানায় বাংলায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা, হিংসা ও হত্যার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে। মৃতের পরিবারকেও ছাড় দেওয়া হয়নি। চৌরাসিয়ার ঠাকুমাকেও মারধর করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, জোর করে অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ পুলিশ ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বিজেপি এর বিচার চাইতে আদালতে গিয়েছে। এই মৃত্যুর ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি হওয়া উচিত। এছাড়া এর তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া উচিত’।
তৃণমূলকে আক্রমণ করে শাহ বলেন, ‘ভোটের পর থেকে যে হিংসা চলছে, গতকাল সরকারের ১ বছর পূর্ণ হতে যেন বার্তা দেওয়া হচ্ছিল যে আমরা (তৃণমূল) থামব না। ভারতীয় জনতা পার্টি হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। হিংসাকে ভয় পায় না’।
তাঁর অভিযোগ, ‘ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার ষড়যন্ত্র ও চেষ্টা চলছে। মানবাধিকার কমিশন, তপশিলি জাতি কমিশন ও মহিলা কমিশন বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছে। ১ বছরের কম সময় দেশের কোনও রাজ্যে এতগুলি মামলার তদন্ত আদালত কোথাও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়নি। এতেই স্পষ্ট যে আদালতেরও এখানকার আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশের ওপর ভরসা নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ঘটনায় রাজ্যের কাছে আজই রিপোর্ট তলব করেছে’।
এদিন শাহ পৌছতেই কাশীপুরে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ও ৩৬৫ ধারা লাগুর দাবিতে স্লোগান ওঠে।