সিবিআই অমিত শাহের দফতরের অধীন। তা সত্ত্বেও তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তে নিয়োগ করতে পারেন না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। এমনকী আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হতে পারে। এটাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ম। সেই নিয়ম লঙ্ঘন হল বলে মনে করা হচ্ছে।
কাশীপুরে যুবনেতা খুনে বিজেপি এবং অর্জুন চৌরাসিয়ার পরিবার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিল। এমনকী আদালতে দেহের ময়নাতদন্তের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন স্বয়ং অর্জুনের মা। এবার ঘটনাস্থলে গিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ, শুক্রবার উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরে কাশীপুরে আসেন।
ঠিক কী বলেছেন অমিত শাহ? কাশীপুরে এসে অর্জুনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ। তারপরেই তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। এই কিছুদিনের মধ্যে অনেকগুলি ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশে দিয়েছে আদালত। দেশের কোথাও এত কম সময়ে এতগুলি সিবিআই তদন্তের নির্দেশের নজির নেই। সাধারণ মানুষের মতো আদালতেরও রাজ্য পুলিশের উপরে আস্থা নেই।’
আজ, এই রহস্যমৃত্যু সকালে প্রকাশ্যে আসে। তা নিয়ে পরিস্থিতি ঘোরালো হযে ওঠে। বিজেপির দাবি তাদের কর্মী। আর তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি তাদের কর্মী। ফলে তপ্ত কাশীপুরে শাহের মন্তব্য আরও বাতাবরণ গরম করে দিল। এদিন তিনি বলেন, ‘অর্জুন চৌরাসিয়ার রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে। জঘন্য হত্যা হয়েছে। গতকাল তৃণমূলের এক বছর হয়েছে। তার পরের দিনই রাজ্যে রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা ঘটল। সারা বাংলায় বিরোধী নেতাদের হত্যা করার একের পর এক উদাহরণ সামনে আসছে। আজই রাজ্য সরকারের কাছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রিপোর্ট তলব করছে। দোষীদের সবাইকে কঠোর শাস্তি সুনিশ্চিত করব।’