পাঁচতারা হোটেলে দলীয় বৈঠকে পুরভোটের রণনীতি ছকে দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। জানিয়ে দিলেন, প্রার্থী বাছাইয়ে চলবে না দলবাজি। জেতার সম্ভাবনা যার বেশি তাকেই দিতে হবে টিকিট। সঙ্গে শাহ এও বুঝিয়ে দিয়েছেন, পুর নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ হলেও তাদের আসল লক্ষ্য ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যে সমস্ত শক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর, রবিবারের সমাবেশে পুর নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা না বললেও রাতের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতা। বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে সন্ধ্যায় কলকাতায় হাজির হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডাও।
বৈঠকে শাহ রাজ্য নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, আনুগত্য নয়, জেতার সম্ভাবনাকেই প্রার্থী বাছাইয়ে প্রাধান্য দিতে হবে। যেখানে যার জেতার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে প্রার্থী হবে সেই। এই নিয়ে দলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে কী বিবাদ রয়েছে তাকে প্রাসঙ্গিকতা দেওয়া যাবে না।
কিন্তু শাহের এই নির্দেশে স্পষ্ট দিশা নেই বলে মনে করছে রাজ্য বিজেপির একাংশ। তাদের দাবি, কোনও আসনে একাধিক প্রার্থীপদের দাবিদারের মধ্যে একজনের জেতার সম্ভাবনা বেশি হতেই পারে। কিন্তু ময়দানে অন্যরা তার হয়ে কাজ না করলে জয় মুশকিল। তাই জয়ের সম্ভাবনাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রার্থী বাছাই করলে শেষ পর্যন্ত বসে যেতে পারেন বহু দলীয় নেতা কর্মী।
তাছাড়া তৃণমূলে টিকিট না পেয়ে কেউ শেষ মুহূর্তে বিজেপিতে যোগ দিলে দলের কী রণনীতি হবে তা নিয়েও কিছু খোলসা করেনি বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, প্রতিটি ঘটনাকে আলাদা করে দেখতে চায় তারা।