অমিত শাহের বঙ্গ সফরের শেষপর্বে ছন্দপতন। শুক্রবার নিউটাউনে সাংগঠনিক বৈঠকে তথাকথিত বিক্ষুব্ধদের বলতে দেওয়া হয়নি বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের। মূলত বিক্ষুব্ধদের একাংশ অমিত শাহের সামনে তাঁদের সমস্যার কথা খোলসা করে বলতে পারেননি। এর জেরে বেজায় চটেছেন তাঁরা।
এনিয়ে বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকেই। এমনকী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও বলার সূযোগ পাননি বলে সূত্রের খবর। মালব্যের গুডবুকে যারা রয়েছেন তাঁরাই বলার সুযোগ পেয়েছেন। আর তথাকথিত বিক্ষুব্ধরা সুযোগই পেলেন না বলার। আর তার জেরেই ক্ষোভ একেবারে চরমে উঠেছে।
এদিকে দল সূত্রে খবর অমিত শাহের সামনে দলের অন্দরের কথা তুলে ধরার তাল করেছিলেন কয়েকজন। বিধানসভা ভোটে কেন ভরাডুবি, কেন বাংলায় বিজেপি এরকম শুকিয়ে যাচ্ছে সেসব কথাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন কয়েকজন। কিন্তু তাঁরা সুযোগই পাননি। মূলত অমিত মালব্যের কড়া নজরদারি গলে তাঁরা বলার সুযোগ পাননি। এর জেরে তাঁদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। এমনটাই খবর দল সূত্রে। তবে দলের একাংশের মতে, সকলেই অমিত শাহের সামনে বলার সুযোগ পাবেন এটা হতে পারে না।
তবে গোটা ঘটনায় অস্বস্তি আরও বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে। একদিকে যখন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং কার্যত বেসুরো গাইছেন, দলের একাংশ বিদ্রোহ শুরু করেছেন তখন এদিনের ঘটনা আরও গাড্ডায় ফেলল দলকে। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।