ভবানীপুরের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে শুক্রবারই মনোনয়ন জমা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মনোনয়ন পত্রের সঙ্গেই ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সম্পত্তি এবং আয়-ব্যয় এবং ব্যক্তিগত তথ্য সংক্রান্ত হলফনামা। তাতেই দেখা যাচ্ছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৪৫ টাকা। গত অর্থবর্ষের তুলনায় যা প্রায় ৫ লক্ষ বেশি। পাশাপাশি মমতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ১৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫১২ টাকা।
এদিকে হলফনামার তথ্য অনুযায়ী ভবানীপুর উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৯ টাকা। তাতে ৯ গ্রাম ৭০০ মিলিগ্রাম অলঙ্কার রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কোনও বাড়ি, গাড়ি, চাষযোগ্য জমি নেই। তিনি কোনও ঋণ নেননি। কোনও কর বকেয়া নেই তাঁর নামে।
এদিকে শুক্রবার মমতার মনোনয়ন পেশকে ঘিরে আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দুপুর ২টো নাগাদ তিনি সেখানে পৌঁছান। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় সেরে তিনি চলে যান ভবনের ভিতরে। সেখানে তিনি মনোনয়ন জমা দেন। সঙ্গে ছিলেন মমতার মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, প্রস্তাবক হিসেবে ছিলেন ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী ইসমত হাকিম ও প্রযোজক নিসপাল সিং রানে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে মমতার বদলে প্রার্থী হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জিতে মমতার মন্ত্রিসভার সদস্য হন। অপরদিকে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারেন মমতা। এরপরই ভবানীপুর থেকে পদত্যাগ করে মমতাকে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দেন শোভনদেব। কারণ, মুখ্যমন্ত্রিত্বে থাকতে হলে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে ভোটে জিতে আসা মমতার জন্য বাধ্যতামূলক ছিল।