উল্টোডাঙা, উলুবেড়িয়ার পর তারাতলা মোড়। একই পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতা। তারাতলায় কর্তব্যরত ছিলেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। রোজ তিনি এখানেই ডিউটি করতেন। রাতে এখানেও দ্রুত গতিতে গাড়ি যায়। এই গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ দেখার দায়িত্বে থাকেন সিভির ভলেন্টিয়াররাই। এবার ফের একবার বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল সিভিক ভলেন্টিয়ারের। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তারাতলা মোড়ে অ্যাম্বাসেডরের ধাক্কায় মৃত্যু হল কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ারের। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে তারাতলায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন রাত ১২.২০ মিনিটে তারাতলা মোড়ে একটি অ্যাম্বাসেডর কর্তব্যরত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সজোরে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কার জেরে গাড়িটি সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে মেট্রো রেলের পিলারে। তখন অন্যান্য ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম অমিত চক্রবর্তী। ঘাতক গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত চালককে। কারণ গাড়িটির গতি স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি ছিল। তারাতলা মোড়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ধাক্কা মেরে পিষে গাড়িটি পিলারে ধাক্কা মারে। তার জেরে গাড়িটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। তারাতলা মোড় জনবহুল। কিন্তু রাতে ওই এলাকা দিয়েই চালকরা দ্রুতগতিতে গাড়ি চালায়। আর তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথ দুর্ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে উল্টোডাঙায় মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু একটি বেপরোয়া লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই কনস্টেবলের মোটরবাইকে ধাক্কা মারলে ছিটকে পড়েন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিলেন। আবার উলুবেড়িয়ায় সিভিক ভলেন্টিয়ারকে পিষে দেয় গাড়ি। এমন পর পর পথ দুর্ঘটনা ঘটায় মৃত্যু হয় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। এবার একই ঘটনা ঘটল তারাতলায়।