সবে মুম্বই থেকে কলকাতায় এসেছেন। তার মধ্যেই যাবেন জেলা সফরে। তারপর সেখান থেকে গোয়া সফর। ফিরেই কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের প্রচার। এই ব্যস্ত কর্মসূচির মধ্যে নেপাল থেকে তাঁর আমন্ত্রণ এলো। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের বিরোধী মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আমন্ত্রণ এসেছে প্রতিবশী দেশ নেপাল থেকে। একটি সভায় বক্তব্য রাখার জন্য কাঠমাণ্ডু থেকে আমন্ত্রণ এসেছে। সূত্রের খবর, সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বড় কোনও কর্মসূচি পড়ে না গেলে আগামী সপ্তাহেই একদিনের সফরে নেপাল যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখন প্রশ্ন, তিনি কী নেপাল যেতে ইচ্ছুক? জানা গিয়েছে, তিনি এই প্রতিবেশী দেশে যেতে চান। তার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বারবারই মুখ্যমন্ত্রীকে বিদেশ সফরে যেতে আটকেছেন। সম্প্রতি রোম সফরে যেতে দেওয়া হয়নি। এবার নেপাল সফরে যেতে দেওয়া হয় কিনা সেটাই দেকার। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিলে, ১১ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী নেপালে যেতে পারেন। তারপর সেখান থেকে ফিরে দু’দিনের গোয়া সফরে যাবেন মমতা। তাঁর সঙ্গে থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই তিনি নয়াদিল্লি সফর শেষ করে মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরেছেন তিনি। এবার তিনি জেলা সফর যাবেন। মঙ্গলবার থেকে তাঁর জেলা সফর শুরু হবে। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর গোয়া থেকে ফিরে এসে জঙ্গলমহল এবং তারপর শিলং যেতে পারেন তিনি বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর। তার মধ্যেই নেপাল থেকে আমন্ত্রণ চলে এসেছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। এবার প্রচারে নামবেন তিনিও। আগামী ১৬ ডিসেম্বর তিনি পর পর দুটি সভা করবেন। একটি বাঘাযতীনে এবং দ্বিতীয়টি বেহালায়। তার সঙ্গে অর্থাৎ আগে–পরে থাকছে এই ব্যস্ততার কর্মসূচি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্বাচনে পথে নামলে তা আরও গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।