ব্যাগ থেকে ৪০০ টাকা চুরি নিয়ে বচসা। তার জেরে সন্দেহের বশে যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়। মৃত যুবকের নাম অমিত রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। খুনের অভিযোগে তাদের মধ্য থেকেই তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবক বীরভূমের বাসিন্দা। তিনি কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। সেই সূত্রে তিনি কলকাতাতেই ঘর ভাড়া করে থাকতেন। ওই সংস্থার মালিকের নাম সুমন মণ্ডল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৬ জন অমিতকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরেই ৬ যুবক পালানোর চেষ্টা করে। যার মধ্যে একজনকে ধরে ফেলে পুলিশ। তার নাম সোমনাথ চক্রবর্তী। তাকে জেরা করে সংস্থার মালিক সুমন সহ দেবাশিস অধিকারী নামে আরও একজনকে পুলিশ আটক করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা।
পুলিশ জানতে পেরেছে, দেবাশিসের ব্যাগ থেকে ৪০০ টাকা চুরি হয়ে গিয়েছিল। তাই নিয়ে অমিতের ওপর তার সন্দেহ হয়। এরপরেই তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। এর পরেই তাদের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি। পুলিশের অনুমান, মারধর করার জেরেই অমিতের মৃত্যু হয়েছে। তার থুতনির নীচে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, ভারী কিছু দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় অভিযুক্তরা নিজেরাই তাকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বাকিরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেলেও সেখানে ছিল সোমনাথ। তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। তাকে জেরা করে সুমন এবং দেবাশিসকে আটক করে পুলিশ। অমিতকে কী কারণে খুন করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।