রাজারহাটে নার্সারিতে কাজ করার সময় এক মালীর রহস্যমৃত্যু। তার পরিবারের তরফে একটি এফআইআর করা হয়েছে ওই নার্সারির অন্য় কর্মীদের বিরুদ্ধে। একটা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্য়েই পুলিশ দুজন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তারা গোটা ঘটনায় গাফিলতি করেছিল।
মৃতের নাম শুভ সর্দার। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙরের গাজিপুর এলাকার বাসিন্দা। রাজারহাটের ঝালিগাছি এলাকার ওই নার্সারিতে তিনি কাজ করতেন। তারা মা নার্সারি। বৃহস্পতিবার রাতে আরও চারকর্মীর সঙ্গে তিনি নার্সারিতে কাজ করছিলেন। কর্মীদের দাবি, ওই যুবক আচকমাই তারে হাত দেন। তারপর ছিটকে পড়ে যান। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
শুভর বাবা দিলীপ সর্দারের দাবি, তাঁর ছেলে বাড়িতে ফোন করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার হাত থেকে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কোন জায়গায় মৃত্যু হয়েছে সেটাও আমাদের বলা হচ্ছে না। আমরা চাই এর বিস্তারিত তদন্ত হোক। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ওখানে পাঠানো হয়েছিল কি না, কাজ করার সময় কেন বিদ্যুতের লাইন চালু ছিল, কেন তাকে সতর্ক করা হয়নি, ওই ব্যক্তির কাছ থেকে অন্যরা কতটা দূরে ছিলেন সবটাই দেখছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই নার্সারির চারদিকে বিদ্যুৎবাহী তার দিয়ে ঘেরা ছিল। এদিকে তেমনই একটি তারে হাত দিয়ে ফেলেন ওই যুবক। এরপরই তিনি ছিটকে পড়ে যান। তাতেই মৃত্য়ু হয় তার। মূলত চুরি আটকানোর জন্য এই ধরনের তার ব্যবহার করা হয়েছিল। পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই তার কারা লাগিয়েছিল। এই তারে হাত দিলে কী হতে পারে সেটা কি ওই কর্মীকে বলা হয়েছিল?
এদিকে প্রাথমিকভাবে কিছু গাফিলতির ঘটনার ইঙ্গিত মিলেছে এই ঘটনার তদন্তে নেমে। কারণ এভাবে নার্সারিতে হাইভোল্টেজ তার দিয়ে রাখলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।