কয়েকদিন আগেই হাফ প্যান্ট পরে থাকায় দুই যুবককে কসবা থানায় ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার হাফ প্যান্ট পরে থাকায় এক যুবককে ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে টিকা না দিয়েই ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি শোভনীয় পোশাক না পরে পুরসভাতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এখানে প্রশ্ন উঠছে হাফপ্য়ান্ট শোভনীয় নয় এটা কীভাবে সিদ্ধান্তে এল পুরসভা? তবে হাফপ্যান্ট পরে আসার জেরেই সোনারপুরের বড়ার সর্দার পাড়ার যুবক শীর্ষনাথ পণ্ডিতকে টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু কেবলমাত্র হাফ প্যান্ট পরে থাকার জন্য কোনও ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে ফিরিয়ে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শীর্ষনাথের বাড়ির সামনে এখনও জল জমে আছে। এদিকে বাড়িতে অসুস্থ বাবা রয়েছেন। মাকে নিয়ে তিনি হাফ প্যান্ট পরেই রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বড়াল কার্যালয়ে টিকা নেওয়ার জন্য় এসেছিলেন। কিন্তু শীর্ষনাথের পরনে হাফপ্যান্ট দেখে তাকে টিকা দিতে অস্বীকার করা হয়। শীর্ষনাথের দাবি, বাড়ির সামনে জল জমে থাকায় তিনি হাফ প্যান্ট পরে এসেছিলেন। তিনি প্রশ্নও করেছিলেন, কেন এই ফতোয়া। তখন তাকে নোটিশ বোর্ড দেখিয়ে দেওয়া হয়। ওই যুবকের মাকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগে থেকে কুপন কাটা থাকলেও তিনি টিকা পাননি বলে অভিযোগ।
তবে এই হাফ প্যান্ট বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'টিকা নিতে যাওয়ার কোনও ড্রেসকোড আছে বলে আমার জানা নেই। ভ্যাকসিন দেবেন না ঠিক আছে। হাফ প্যান্ট পরলে টিকা দেবেন না এটা কোনও আইন হতে পারে? হয়তো কাটমানি ঠিক মতো পায়নি।' তবে পোশাক নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে অবশ্য বিগত দিনে দিলীপ ঘোষও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। কিন্তু স্রেফ হাফপ্যান্ট পরে থাকার জন্য বাংলার কোনও ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে এই ঘটনাই অশোভন ঠেকছে অনেকের কাছে। প্রশ্ন উঠছে এমন প্রান্তিক মানুষও রয়েছেন যাঁদের কাছে বাইরে পরার মতো কোনও ফুলপ্যান্ট নেই। তাঁরাও কি তবে ভ্যাকসিন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন? পুরসভার এই নীতিপুলিশি কতটা গ্রহণযোগ্য?