মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা আকাদেমির বিশেষ পুরস্কার দেওয়াকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। একাধিক কবি সাহিত্যিক এনিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার সেই প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবেই সাহিত্য আকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা পরিষদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে এই পুরস্কার দেওয়ার পেছনে স্বজনপোষনের অভিযোগ তুলেছেন অনাদিরঞ্জন।
তিনি বলেন, এখনকার এই সাহিত্যিকদের সঙ্গে একসঙ্গে মিটিংয়ে ওঠাবসা করা আমার পক্ষে বোধহয় আর সম্ভব নয়।তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি কলকাতায় যে উপদেষ্টা বোর্ড আছে, আর যারা একটি বইকে নির্বাচন করে পুরস্কার দিয়েছে, কমবেশি একই ব্যক্তি, একই কুশীলব রয়েছে।এটা আমার নৈতিক কর্তব্য। যেহেতু আমি রবীন্দ্রনাথকে ভালোবাসি, রবীন্দ্রনাথকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করি, আর সেই কবিতা নিয়ে যদি ছেলেখেলা হয় তাহলে আমার নৈতিক কাজ হল পদত্যাগ করা। তাই আমি পদত্যাগ করেছি। একেবারে দৃঢ় গলায় জানিয়ে দিয়েছেন অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস।
কবিতাবিতান বইয়ের জন্য বিশেষ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেই বইয়ের কবিতা নিয়ে তুমুল ট্রোল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর আগে প্রতিবাদ স্বরূপ রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৯ সালে পাওয়া অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন।