ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চাপের মুখে আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। বুধবার রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে আর চিকিৎসা করতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ। নিজেকে ডাক্তার বলে দাবিও করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন - ‘একটা অত্যাচারী লোক, যে ব্রিটিশের অত্যাচারকেও হার মানিয়েছে’
পড়তে থাকুন - মনোজ ভার্মাকে 'সিপিএমের দালাল' বলেছিলেন মমতা, বিনীত সরতেই তিনিই হলেন নতুন সিপি
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারির পর গত ৭ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষকে শো কজ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। কেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না তা জানতে চাওয়া হয় সন্দীপবাবুর কাছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি পৌঁছয় অভিযুক্তের বেলেঘাটার বাড়িতে। তার পর ১০ দিনের বেশি কেটে গেলেও কোনও জবাব পাঠাননি সন্দীপ ঘোষ। এর মধ্যে গত শনিবার আরজি কর মেডিক্যালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পরেও সন্দীপকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল বহিষ্কার না করায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার তরফে চিঠি দিয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়কে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করা হয়। ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে সন্দীপবাবুর বিরুদ্ধে তাঁর পদক্ষেপ করা উচিত বলে মন্তব্য করা হয় চিঠিতে। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। বৃহস্পতিবার লিখিত নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন - চলবে কর্মবিরতি! রাত দেড়টায় ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের, ফের মমতার সঙ্গে বৈঠক চান
বলে রাখি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন সুদীপ্ত রায়। শান্তনু সেনকে সরিয়ে তাঁকে ওই পদে বসায় স্বাস্থ্য দফতর। অভিযোগ, ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার কারণেই শান্তনুকে সরিয়ে সুদীপ্তকে বসানোর জন্য চাপ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। রেজিস্ট্রেশন বাতিলের পর কোনও মানুষের চিকিৎসা করতে পারবেন না তিনি। নিজেকে ডাক্তার বলে দাবিও করতে পারবেন না সন্দীপবাবু। এক সময় যার চ্যালাচামুণ্ডারা জুনিয়র ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার হুমকি দিয়ে বেড়াত, ঘটনাচক্রে বাতিল হয়ে গেল তাঁরই রেজিস্ট্রেশন।