বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‘‌নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকব’‌, পুরসভা নির্বাচনে কড়া অবস্থান জয়প্রকাশের

‘‌নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকব’‌, পুরসভা নির্বাচনে কড়া অবস্থান জয়প্রকাশের

জয়প্রকাশ মজুমদার।

এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন বিক্ষুব্ধরা বলে খবর।

দল এখন পাঁচ হাজার কোটির মালিক। গোটা দেশের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে শীর্ষে বিজেপি। কিন্তু তাতে রাজ্য বিজেপিতে বিদ্রোহ কমেনি। বরং বেড়েই চলেছে। জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিদের সাময়িক বরখাস্তের পথেও হেঁটেও থামছে না গৃহযুদ্ধ। ইতিমধ্যেই সুনীতা ঝাওয়ার পদত্যাগ করেছেন আদি–নব্য দ্বন্দ্বের প্রতিবাদে। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন বিক্ষুব্ধরা বলে খবর।

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব তাতে প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন। কিন্তু যদি ভরাডুবি হয় তাহলে বিক্ষুব্ধরা ছাড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘আমরা দলের বিরুদ্ধে নই। আমরা রাজ্য নেতৃত্বের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার বিরুদ্ধে। দল আমাদের কাছে শত্রু নয়। তাই আমরা এমন কোনও কাজই করব না যার জন্য নির্বাচনে দলের ক্ষতি হতে পারে। তবে আপাতত আমাদের সিদ্ধান্ত নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকা।’

উল্লেখ্য, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ি পুরসভায় নির্বাচন রয়েছে। ভোটগণনা হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। তারপর রয়েছে রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন। এই অবস্থায় বিক্ষুব্ধদের সরে থাকা ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই বার্তাই ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলবে।

কেন এত ক্ষোভ রয়েছে?‌ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জয়প্রকাশ বলেন, ‘এই নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই থেকে ভোট পরিচালনা—ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা রয়েছে। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের সময়েও একই ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য নেতৃত্ব পছন্দের গ্রামীণ নেতাদের কলকাতার দায়িত্ব দিয়েছেন। অর্থ বণ্টনেও দুর্নীতি হয়েছে।’‌ এমন সব বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধ জয়প্রকাশ। তাতেই প্রভাব পড়েছে ভোটে।

বন্ধ করুন