ফের আরও এক ভুয়ো সিবিআই আধিকারিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। নোয়াপাড়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক আইনজীবী ও তাঁর দম্পতির কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আরও এক ভুয়ো সিবিআই আধিকারিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত এই ভুয় সিবিআই আধিকারিকের নাম কৃশানু মণ্ডল। বাগুইআটির রঘুনাথপুর এলাকায় কৃশানুর বাড়ি বলে জানা গিয়েছে। ২০১৬ সালে শিয়ালদহ আদালতে আইনজীবী বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাপ হয় কৃশানুর। এরপর দুজনের মধ্যে আলাপ আরও জমতে থাকে। বিশ্বজিৎবাবুর বাড়িতে আসাযাওয়াও শুরু হয় কৃশানুর। বিশ্বজিৎবাবু ও তাঁর স্ত্রী ইন্দিরার কাছে নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়েছিলেন কৃশানু। বিশ্বজিৎবাবুর বাড়ি বরাহনগরে। তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে সিবিআই দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ওই যুবক। ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে নেওয়ার পর চাকরি দেওয়ার কথা বলতেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় কৃশানু। তারপরেই ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক কৃশানুর নামে বরানগর থানায় এফআইআর দায়ের করে আইনজীবি দম্পতি। আর সেই মামলার জেরেই গতকাল রাতে নোয়াপাড়া থেকে গ্রেফতার হয়েছেন কৃশানু। ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল নিয়োগপত্র, ভুয়ো নথি।
তবে পুলিশের সন্দেহ, কৃশানু এই কাজে একা যুক্ত নয়। এর পিছনে বড় কোনও মাথা জড়িয়ে থাকতে পারে। আইনজীবী দম্পতি পুলিশকে জানিয়েছে, সিবিআই দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে ওই দম্পতির সঙ্গে ৮০ লাখ টাকার চুক্তি হয়। ধাপে ধাপে ৪০ লাখ টাকা নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে যোগাযোগ কমিয়ে দেয় ওই যুবক। পুলিশ এই ভুয়ো সিবিআই আধিকারিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে। পুলিশের অনুমান, কৃশানুকে জেরা করলে তাঁর মুখ থেকে আরও অনেকের নাম উঠে আসবে। তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হবে।