ভবানীপুরে দম্পতি খুনের ঘটনায় মূলচক্রী কে? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁদের মেজো জামাইয়ের এক আত্মীয় এই খুনের মূলচক্রী বলে পুলিশের অনুমান। সূত্রের খবর, শাহ দম্পতির ব্যবসায় কিছুদিন ধরে মন্দা চলছিল। তাই তাঁরা কিছু অর্থ ঋণ নেন তাঁদের মেজো জামাইয়ের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে। কিন্তু শোধ করতে দেরী হচ্ছিল। তা নিয়ে বচসা হয়েছিল। কিছু টাকা মেটানো হলেও পুরোটা মেটাতে পারেননি অশোক শাহ। বকেয়া টাকা না মেটানোয় খুন করা হয়েছে শাহ দম্পতিকে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই তিনজনকে আটক করে লালবাজার। তাদের মধ্যে আজ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
মোট কতজন গ্রেফতার হল? পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ওড়িশার এক বাসিন্দাকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে ভবানীপুরের জোড়া খুন কাণ্ডে তিনজনকে গ্রেফতার করা হল। দু’জন পেশাদার খুনিকে আগেই গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ওই পেশাদার খুনিদের সুপারি দিয়ে থাকতে পারেন দম্পতির মেজো জামাইয়ের ওই আত্মীয়। তাই এখন দফায় দফায় জেরা চলছে।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, জড়িত শাহ পরিবারের এক নিকট আত্মীয়ই। গত শুক্রবার সে এসেছিল বাড়িতে। খুনের দিনও সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে তাকে দেখা গিয়েছে। অনুমান, সে–ই মোটা টাকার বিনিময়ে ভাড়া করেছিল ভাড়াটে খুনিকে। ভবানীপুরের জোড়া খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও হদিশ পেতে চাইছে পুলিশ।
কোন সূত্রে উঠে এল তথ্য? লালবাজার সূত্রে খবর, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ জোগাড় করে খুনের দিন সন্দেহভাজনদের ভিডিয়ো’র সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। তাতেই মোড় ঘুরে যায় তদন্তের। তারপর যে মোবাইল ফোন ধর্মতলার ম্যানহোলের কাছ থেকে মেলে সেখান থেকে বাকি তথ্য উঠে আসে। ইদানিং কিছু দালাল আসত এই বাড়িতে। বাড়িটি কেনার ব্যাপারে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। তার জেরেই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য নিশ্চিত করতে চাইছে পুলিশ। ভাড়াটে খুনিদের পরিচয় জানতে ওই আত্মীয়ের মোবাইলের কল ডিটেলস বের করা হয়েছে। সেখান থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক ইনকামিং ও আউটগোয়িং কলের সূত্র মেলে।