আবাসের তালিকা নিয়ে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি পঞ্চায়েতে ক্ষোভ – বিক্ষোভের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে ট্যাব কেলেঙ্কারি। আর এতেই রাজ্যের জেলায় জেলায় জন অসন্তোষ পৌঁছেছে চরমে। টাকা বিলি করার এই রণনীতি বুমেরাং হবে না তো? সেই আশঙ্কায় এবার আবাসে সমীক্ষার ওপর সমীক্ষা করতে চলেছে প্রশাসন। প্রতিটি পঞ্চায়েতে ক্যাম্প করে আবাসের তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিদের নথি যাচাই করবেন সরকারি কর্মীরা। খতিয়ে দেখা হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যও।
আরও পড়ুন - '৪ দিনে কলকাতা দখলের' জবাব- 'বাংলাদেশ সেনার জন্য সিভিক ভলান্টিয়াররাই যথেষ্ট'
পড়তে থাকুন - তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম? তদন্ত কমিটির ভূমিকায় ধোঁয়াশা
ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যে আবাস যোজনার টাকা বিলির কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে আবাস যোজনার সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলা। প্রায় সর্বত্রই অভিযোগ, প্রকৃত উপভোক্তারা ঘর পাচ্ছেন না। ঘর পাচ্ছেন তৃণমূল নেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠরা। যারা ইতিমধ্যে করে কম্মে নিয়ে পাকা বাড়ি গেঁথে ফেলেছেন। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো পড়েছে ট্যাব কেলেঙ্কারি। যেখানে সরকারি ওয়েবসাইটের দুর্বল নিরাপত্তার সুযোগে স্কুলের নাবালক ছাত্র ছাত্রীদের ট্যাবের টাকা সরিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। একের পর এক সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতি ও প্রতারণার জেরে বিক্ষোভে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই আবাস যোজনার টাকা পাঠানোর আগে বাড়তি সতর্ক তারা। তাই সমীক্ষা শুরুর আগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযোগ করে রাখা বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন - শপিং মলের ভিতরে কালো কাচে ঘেরা দোকান, তার মধ্যেই চলছিল সেই সব কাণ্ড, ধরল পুলিশ
নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতে ক্যাম্প করবেন সরকারি কর্মীরা। সেখানে আবাস যোজনার তালিকায় যাদের নাম উঠেছে তাদের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হবে। আধারের মাধ্যমে OTP পাঠিয়ে সুনিশ্চিত করা হবে, যে অ্যাকাউন্ট নম্বর উপভোক্তা দিয়েছেন তার মালিক তিনিই। তার পর মাসের শেষে ঢুকবে টাকা। কেউ নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করলে তার নাম বাদ যাবে তালিকা থেকে। টাকা পাবেন না তিনি।