ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী ক’জন? অর্থাৎ তাঁকে কতজনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। সবাই ভাবছেন ঘরের মেয়েকে শুধু বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। কিন্তু আসরে রয়েছেন আরও তিন মহিলা প্রার্থী। আর তা নিয়ে এখন চায়ে পে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে ভবানীপুরে।
কিন্তু এই তিন মহিলা প্রার্থী কারা? ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে পা রেখে জানা গেল, এখানের উপনির্বাচনে ভারতীয় ন্যায় অধিকার রক্ষা পার্টি দাঁড় করিয়েছে স্বর্ণলতা সরকারকে। আর নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিনা আহমেদ এবং রূমা নন্দন। সুতরাং মোট বিরোধী মহিলা প্রার্থী চারটি। আর বিজেপিকে বাদ দিয়ে ধরলে তিনটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই সবার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসতে হবে। যা আগে ভাবা যায়নি।
এখন বিষয় হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার শুরুর সময় থেকেই বলেছেন, মা–বোনেদের আর্শীবাদ তাঁর সঙ্গে আছে। এখানে মহিলা ভোটার একটা ফ্যাক্টর। কারণ সিপিআইএমকে বাদ দিলে বাকি সবাই মহিলা। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজই তাঁর লড়াইয়ের মূল হাতিয়ার। সুতরাং তিনি জয়ী হবেনই। হয়তো তিনি জিতবেন। তবু প্রশ্ন থাকছে জয়ের পথ কী মসৃণ হবে? কারণ এখানে ভোট কাটাকাটির খেলা হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
আগামী ৩০ তারিখ ভোট। তাই নির্বাচনী উত্তাপ এখন চরমে। এবারের নির্বাচনে ভবানীপুরে ফ্যাক্টর হতে চলেছে মহিলা ভোটাররা। এমনকী উপনির্বাচনের রায়ের মূল কারিগর হতে চলেছেন মহিলারাই। ফলে মহিলাদের মতামতকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন সবাই। তাই যেটা খুব সহজ জয় ভাবা হয়েছিল সেটাই কঠিন হযে উঠেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে সব দলেরই। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বড় জনসভা করার সু়যোগ নেই কোনও দলেরই। ছোট পথসভা, প্রেক্ষাগৃহে সভা, ঘরোয়া সভা এবং বাড়ি বাড়ি প্রচারের উপর জোর দিতে হচ্ছে সকলকে। এই পরিস্থিতিকে সবাইকে পিছিয়ে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে যান কিনা এখন সেটাই দেখার।