রাজ্যে হিন্দুদের ধর্মাচরণে বার বার বাধা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব পেশে বাধা পেল বিজেপি। শুক্রবার বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মুলতুবি প্রস্তাব পড়তে দেননি বলে অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবুর দাবি, রাজ্যে হিন্দুবিরোধী সরকার চলছে।
এদিন বিধানসভায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুদের অনুষ্ঠানে অন্য সম্প্রদায়ের আক্রমণের যে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি ঘটেছে তা নিয়ে আলোচনা চেয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চায় বিজেপি। কিন্তু সেই প্রস্তাব বিরোধী দলনেতাকে পাঠ করতে দেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই নিয়ে সংবিধান দিবস পালনের সময় আলোচনা হয়েছে।
এর পরই বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বিধানসভা তো সংবিধান মেনে চলে। সংবিধানের কাঠামো মেনে আমাদের বক্তব্যে কোথাও কোনও ধর্ম, সম্প্রদায় বা রাজনৈতিক দলকে আক্রমণের কোনও বক্তব্য ছিল না। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের প্রস্তাবটুকুও পাঠ করতে দেননি। এখানে হিন্দুবিরোধী সরকার চলছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, হিন্দুদের একটা বড় অংশ হিন্দুদের ভোট দিলেও এখনও একটা ভালো সংখ্যক অংশ তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করে। আমি তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া সেই হিন্দুদের প্রশ্ন করতে চাই, কাদের আপনারা পাঠিয়েছেন?’
এর পর প্রস্তাবটি পাঠ করে শোনান শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘ভারতীয় সংবিধানে ধর্মের স্বাধীনতার কতা সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত আছে। ধর্মাচরণে স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করেছে সংবিধানের ২৫ থেকে ২৮ অনুচ্ছেদে। যা এই রাজ্যে লঙ্ঘিত হচ্ছে বারবার। যেমন ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ, শ্যামপুর, নোদাখালি, বেলডাঙা প্রভৃতি স্থানে একটি নির্দিষ্ট ধর্মের দুষ্কৃতকারীগণ হিন্দু ধর্মের ধর্মানুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে বাধা প্রয়োগ করছে। সংবিধানবিরোধী এই ধরণের হানাহানি, অগ্নিসংযোগ, দেবদেবীর মূর্তি ভাঙা বন্ধ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। এই সভা সদনের সমস্ত কাজ মুলতুবি রেখে উক্ত বিষয়ে আলোচনার দাবি জানাচ্ছি।’
শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, ‘বিধানসভায় পুলিশ দফতর নিয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় না। তাহলে আমরা কার কাছে এসব জানাব? আমরা কি বিধানসভায় শুধু ভাতা তুলতে আসি?’