যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সম্প্রতি রিপোর্ট জমা দিয়েছে অভ্যন্তরীণ কমিটি। তাতে র্যাগিংয়ের বিষয়টি স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ কমিটির এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে চায়ছে নবগঠিত অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড। ফলে নতুন করে আর তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড। শুক্রবার এই স্কোয়াডের প্রথম বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে কোনও মতামত না থাকলে সদস্যদের আগামী বুধবারের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের মৃত ছাত্রকে পুলিশের ভয় দেখানো হয়েছিল, উঠে এল তদন্ত রিপোর্টে
শুক্রবার ৫৫ সদস্যের এই স্কোয়াডের বৈঠকে সকলেই উপস্থিত ছিলেন। এর আগে যাদবপুরে অভ্যন্তরীণ কমিটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। অভ্যন্তরীণ কমিটিতে র্যাগিং সেলের কাউকে না রাখায় তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে এদিন ঠিক হয়েছে কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে সেই রিপোর্টটিই খতিয়ে দেখা হবে। পুনরায় তদন্ত করলে সেক্ষেত্রে বিষয়টি দীর্ঘায়িত হতে পারে। সেই কথা ভেবে অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৯ অগস্ট হস্টেলের এ ২ ব্লকের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। সেই ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরে তদন্ত কমিটি হস্টেলের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলে এবং তথ্য যাচাই করে প্রায় দেড় মাস পর এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে শুধু মৃত পড়ুয়াই নয়, প্রথম বর্ষের পড়ুয়ারা কীভাবে ভয়ঙ্কর র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে থাকে সেই কথা কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ২ ব্লকেই সবচেয়ে ভয়ঙ্করভাবে র্যাগিং হত। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে অভ্যন্তরীণ কমিটি।
গত মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসি কমিটির বৈঠকে অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও আবাসিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ যে ছাত্রদের গ্রেফতার করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় পুলিশ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল। যার মধ্যে জামিনে রয়েছে একজন এবং ১২ জন এখনও জেলে রয়েছে তবে ইসি কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই পড়ুয়ারা নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বা হোমস্টেলে ঢুকতে পারবেনা।