চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা। এই প্রবাদ বাক্যের উপর নির্ভর করেই চুরি শুরু হয়েছিল রামমোহন মিউজিয়ামে। এই চুরির হদিশ করতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আর তাতেই চুরির ঘটনায় পুলিশের জালে এক ব্যক্তি ধরা পড়ে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া পিতলের সামগ্রী। ধৃতের নাম সঞ্জয় জয়সওয়াল।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই সঞ্জয় চুরিকেই পেশা করে নিয়েছিলেন। বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থান থেকে প্রাচীন জিনিসপত্র চুরি করত সে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি পিতলের সুসজ্জিত চেন, ৭টি সুসজ্জিত বল, ৬টি পিতলের দরজার হাতল, ২৪টি পিতলের রিং এবং ৫টি পিতলের রিং। ১৭ মে রামমোহন লাইব্রেরিতে চুরি হয়। খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে আমহার্স্ট থানার পুলিশ। সেখানেই উঠে আসে সঞ্জয় জয়সওয়ালের নাম। ৫৩ বছর বয়সের ওই ব্যক্তি অ্যান্টিক সামগ্রী কেনাবেচা করে। কিন্তু পথটা চুরি। এই সামগ্রী চুরি করে কয়েক লক্ষ টাকায় তা বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল সঞ্জয়ের। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।
ঠিক কী হয়েছিল? ৮৫/এ, রাজা রামমোহন রায় সরণি। এই ঠিকানাটি হল–রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি। উত্তর কলকাতার এই বাড়ি ঐতিহাসিক। এই বাড়িই আজ পড়ে রয়েছে চূড়ান্ত অবহেলায়। এখানে নেই কোনও সিকিউরিটি গার্ড বা সিসিটিভি ক্যামেরা। অথচ বাড়ির ভিতর রয়েছে বহু মূল্যবান জিনিস। সম্প্রতি ট্রাস্টির সদস্যরা লক্ষ্য করেন, কিছু জিনিস চুরি গিয়েছে। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে দেখা যায়, অনাদরে পড়ে আছে এই বাড়িটি। আর তার সুযোগ নিয়ে চুরি হয়ে যাচ্ছে বহু মূল্যবান সামগ্রী। যার নেপথ্যে এই সঞ্জয় জয়সওয়াল।