এবার দুর্গা পুজোর আগেই তিহাড় থেকে বাড়়ি ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও তিহাড় থেকে বীরভূমের বাড়িতে ফিরেছেন। প্রায় দু বছর পরে তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন। জেলে থাকার জেরে বীরভূমের পুজোতে এতদিন তাঁরা অংশ নিতে পারেননি। তবে এবার গ্রামের পুজোতে গিয়েছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। সঙ্গে মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও ছিলেন। নানুনের হাটসেরান্দি গ্রামের পুজোর আয়োজন ছিল একটা সময় ছিল কেষ্টর আলোয় আলোকিত। তবে গত দু বছর তিনি জেলে থাকার জেরে এই গ্রামের পুজোয় অংশ নিতে পারেননি। তবে এবার তিনি গিয়েছিলেন।তবে তিনি অঞ্জলি দেননি। তিনি নিজেই জানিয়েছেন কারণটা।
এবার গ্রামের পুজোতে যেতেই কার্যত কেষ্ট মণ্ডলকে ঘিরে এলাকার মানুষের উৎসাহ ছিলেন চোখে পড়ার মতো। সিবিআইয়ের চোখে তিনি ছিলেন গরু পাচারকারী। তবে স্থানীয়দের চোখে কারোর কাছে তিনি কেষ্ট কাকা, কারোর কাছে তিনি কেষ্ট দা, কারোর কাছে অনুব্রত মণ্ডল।
গরু পাচার মামলায় দুবছর তিনি জেলে ছিলেন। তবে এবার তিনি জামিনে মুক্ত। তবে জামিনে মুক্তি পেলেও তিনি বিতর্কিত কোনও মন্তব্য আর করতে চান না। একটা সময়ে তিনি চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসার জন্য বিশেষ নাম করে ফেলেছিলেন। বীরভূম তৃণমূলের শেষ কথা যে এখনও সেই কেষ্ট মণ্ডলও সেটাও স্বীকার করেন তিনি। তবে অনেকের মতে,জেল থেকে বের হওয়ার পরে সেি আগের দাপট কিছুটা হলেও কমেছে তাঁর। জেল থেকে বের হওয়ার পরে কথায় কথায় কেঁদে ফেলছিলেন তিনি।
শুক্রবার গ্রামের বাড়ির পুজোতে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ তিনি মণ্ডপের বাইরে বসেছিলেন। তিনি বলেন, গ্রামের পুজোয় এসে খুব ভালো লাগছে। তবে মন্দিরে উঠতে পারব না। অঞ্জলিও দিতে পারব না। আমার কাকা মারা গিয়েছে তো তাই! বাইরে থেকে প্রণাম জানালাম দেবী দুর্গাকে।
গত মাসেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার কিছুদিন আগে জামিন পেয়েছিলেন মেয়ে সুকন্যাও। তবে বীরভূমে ফেরার পরে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি অনুব্রতকে। বলা যায় কিছুটা এড়িয়েই যাচ্ছেন। তবে এদিন গ্রামের পুজোতেও তিনি বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন। পরনে পায়জামা, পাঞ্জাবি। মেয়ে পরেছিলেন শাড়ি। চেয়ারে বেশ কিছুক্ষণ বসেছিলেন তাঁরা। তবে অশৌচ বলে তাঁরা এদিন সরাসরি পুজোতে অংশ নেননি। অঞ্জলিও দেননি।