আজ, শনিবার তাঁর ১০ দিনের সিবিআই হেফাজত শেষ হয়েছে। সুতরাং সিবিআই তাঁকে আজ আসানসোলের আদালতে তুলবে। তাই ভোর ৫টা থেকে নিজাম প্যালেসে প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছিল। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কমান্ড হাসপাতালে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য। আর সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় নিজাম প্যালেস থেকে নেমে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
ঠিক কী বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল? এদিন সকালে নিজাম প্যালেস থেকে নেমে তাঁকে আত্মবিশ্বাসী মেজাজে দেখা যায়। তখন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয় তাঁর দিকে। তখনই সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘তদন্তে আমি একশো শতাংশ সহযোগিতা করছি। আমার কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই।’ এই মেজাজ দেখে সিবিআই অফিসাররাও অবাক। কারণ বীরভূমের কালিকাপুরের অখ্যাত এক চালকলে শুক্রবার গিয়েছিল সিবিআই। ভোলে ব্যোম রাইস মিল। সেই মিলের ভিতর তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় অন্যের মালিকানাধীন পাঁচটি দামি গাড়ি, একটি মোটরবাইক এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি। সেখানে অনুব্রত মণ্ডলের যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচারের তদন্তে নেমে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬.৯৭ কোটি টাকার হদিস মিলেছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্ক বিভিন্ন জেলার একাধিক ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে রয়েছে। তাঁর বিপুল সম্পত্তির টাকার উৎস কি? জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। অনুব্রতের মেয়ের নামে রয়েছে ওই চালকল। গ্যারেজের গাড়িগুলির মালিকদের নামও হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। এই অবস্থায় তাঁর কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই বলে অনুব্রত দাবি করলে হতবাক হয়ে যান সিবিআই কর্তারা।
অনুব্রত মণ্ডলকে কী বলতে শোনা গেল? এদিন তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ওরা তদন্ত করে দেখুক। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করছি। আমার কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই।’ এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির খোঁজ পায় সিবিআই। রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজের (আরওসি) কাছ থেকে সেটির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন অনুব্রত–কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তাহলে কেন এমন মন্তব্য করলেন? জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। রাখি উৎসবের দিন গ্রেফতার হন অনুব্রত।