মন্ত্রী কন্যার চাকরি খোয়া গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে। হ্যাঁ, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের প্রাথমিক শিক্ষিকা পদে নিয়োগ নিয়ে মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। আজ, বুধবার সেই মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আবার বড় নির্দেশ দিলেন।
ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি? আজ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুব্রত কন্যা–সহ তাঁর পাঁচ আত্মীয়কে দুপুর তিনটের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। আর তাঁদের আদালতে হাজির করানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে। সেই নির্দেশও দিলেন বিচারপতি। এই নির্দেশ দিতেই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? বোলপুরের কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যা মণ্ডল। মামলাকারীর অভিযোগ, চাকরিতে যোগ দিলেও সুকন্যা মণ্ডল কোনওদিন স্কুলেই যাননি। বরং স্কুল তাঁর বাড়িতে চলে আসত। হাজিরা খাতায় নাকি বাড়িতে বসেই সই করে দিতেন সুকন্যা মণ্ডল। এই অভিযোগ উঠলেও কোনও মন্তব্য করেননি অনুব্রত কন্যা। আজ তাঁর বোলপুরের বাড়িতে সিবিআই গিয়েছিল। তখন অফিসারদের তিনি জানান, সম্প্রতি মা মারা গিয়েছেন। বাবা এখন জেলে। এই অবস্থায় তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না। তারপরই আদালতের ডাক এল।
কাদের আদালতে তলব করা হয়েছে? আদালত সূত্রে খবর, আগামীকাল বৃহস্পতিবার যাঁদের আদালতে তলব করা হয়েছে সেই তালিকায় সুকন্যা ছাড়াও রয়েছেন সুমিত মণ্ডল, অর্ক দত্ত, সাত্যকি মণ্ডল, কস্তুরী চৌধুরী এবং সুজিত বাগদি। এঁরা সকলেই অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। এঁরা সবাই স্কুল শিক্ষক–শিক্ষিকার চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সুকন্যা–সহ মণ্ডল পরিবার কলকাতা হাইকোর্টে আসে কিনা সেটাই এখন দেখার।