ভুয়ো ঋণ দেখিয়ে নিজের বেআইনি কারবার ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে ইডি। আর অনুব্রতর এই ভুয়ো ঋণের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। তাঁরই এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অনুব্রত এই ঋণ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। মনোজ মেহেনত নামে মণীশ কোঠারির সেই আত্মীয়ের বয়ান ইতিমধ্যে রেকর্ড করেছে ইডি।
ইডির দাবি, বেআইনি কারবার থেকে বিপুল আয় লুকানোর জন্য ভুয়ো ঋণ নিতেন অনুব্রত মণ্ডল। যাতে তাঁর বিপুল ঋণের টাকায় কেনা বলে তিনি দাবি করতে পারেন। আর তাঁকে এই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির আত্মীয় মনোজ মেহেনত। তিনি ২.৪ শতাংশ কমিশনে ভুয়ো ঋণের ব্যবস্থা করে দিতেন তিনি। এভাবে দফায় দফায় ২০ – ২৫ লক্ষ টাকা ঢুকেছে অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে। সেই টাকার কোনও দরকার ছিল না অনুব্রত। ইচ্ছা মতো সেই ঋণ শোধ করে দিয়েছেন তিনি।
ইডি জানাচ্ছে, বারে বারে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের সংস্থার একাধিক অ্যাকাউন্টে এই ঋণের টাকা ঢুকেছে। কালো টাকা সাদা করতে এই পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।