সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপার প্রশান্ত শ্রীবাস্তবকে লেখা চিঠিতে অনুব্রত জানিয়েছেন, আগামী ২১ মে পর্যন্ত তাঁকে ‘সম্পূর্ণ বিশ্রামে’ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারপরেই জোড়া নোটিশের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের দফতরে গিয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে পারবেন।
অণ্ডকোষ ও মলদ্বারের সমস্যায় ভুগছেন। চার সপ্তাহ ‘সম্পূর্ণ বিশ্রামের’ পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সেই সময়ের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সিবিআইকে তাঁর বাড়িতে আসতে হবে। নাহলে ভার্চুয়ালি মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে সিবিআইকে। আইনজীবীর মাধ্যমে এমনই জানালেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
সিবিআইয়ের ডেপুটি সুপার প্রশান্ত শ্রীবাস্তবকে লেখা চিঠিতে অনুব্রত জানিয়েছেন, আগামী ২১ মে পর্যন্ত তাঁকে ‘সম্পূর্ণ বিশ্রামে’ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারপরেই জোড়া নোটিশের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের দফতরে গিয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে পারবেন। সেই সময়ের আগে যদি অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআই আধিকারিকরা, তাহলে তাঁর বাড়িতে হবে। অথবা ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম থেকে অনুব্রত ছাড়া পাওয়ার পর সিবিআইয়ের কলকাতার অফিসের তরফে দিল্লিতে যোগাযোগ করা হয়। দিল্লির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শনিবার বিকেলের মধ্যে অনুব্রতকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গরুপাচার মামলায় শনিবার বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে অনুব্রতকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও অনুব্রত নিজাম প্যালেসে যাননি। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিবিআইকে মেল করেন। সেখানে নিজের অসুস্থতার বিষয়ে জানান অনুব্রত।
সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আগেই ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় রবিবার সকাল ১১ টার মধ্যে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতিকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু সেদিনও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি সিবিআই।