গরুপাচারকাণ্ডে গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে মঙ্গলবারই দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। তার পরই ইডি সূত্রে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দাদের দাবি, যাবতীয় কারবার অবাধে চালু রাখতে সায়গল হোসেনকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা প্রোটেকশন মানি দিতেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকী কোনও মাসে ৫ কোটি পার করত সেই অংক।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গরুপাচারের চূড়ান্ত রমরমার দিনে সপ্তাহে এক একটি হাত থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকার গরু পাচার হত। প্রোটেকশন মানি হিসাবে প্রতিটি হাট থেকে বখরা পেতেন সায়গল। গরুপাচারের টাকা বালি ও কয়লা খাদানে বিনিয়োগ করেছিল পাচারকারীরা। সেই কারবারেরও বখরা ঢুকত সায়গলের অ্যাকাউন্টে। সব মিলিয়ে মাসে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রোটেকশন মানি তুলতেন তিনি।
সায়গলকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরে তাঁকে বেশ কয়েকবার এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, প্রতিবারই সায়গল বলেন এব্যাপারে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর অনুব্রত মণ্ডল দিতে পারবেন।
সিবিআই ও ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলাদেশে গরুপাচারের করিডর তৈরি করে দিয়েছিলেন অনুব্রত। ঝাড়খণ্ড ও বিহার হয়ে উত্তর ভারত থেকে গরু ঢুকত বীরভূমে। তার পর জেলার বিভিন্ন হাটে সেই গরু কিনতেন পাচারকারীরা। এর পর অনুব্রতর বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে সেই গরু মুর্শিদাবাদ হয়ে পৌঁছে যেত বাংলাদেশে। তার বিনিময়ে পাচারকারীদের থেকে মোটা প্রোটেকশন মানি আদায় করতেন অনুব্রত ও সায়গল। তদন্তকারীদের অনুমান, এই টাকার একটা বড় অংশ পৌঁছত পুলিশ ও প্রভাবশালী নেতাদের কাছে।