গরুপাচারের কালো টাকার দায় ঝাড়তে কি তবে শুরু হয়ে গেল জেলবন্দি বাবা ও মেয়ের দড়িটানাটানি? বৃহস্পতিবার দিল্লির আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে তেমনই দাবি করা হয়েছে। ইডির চার্জশিট অনুসারে অনুব্রত বলছেন, মে সুকন্যাও তাঁর ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। ওদিকে মেয়ের দাবি, বাবা যা বলেছে তাই করেছি।
চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, জেরায় অনুব্রত মণ্ডল স্বীকার করেছেন, তাঁর ব্যবসায় সহযোগিতা করতেন মেয়ে সুকন্যা। হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির পরামর্শ নিয়ে তিনি ও মেয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতেন। ইডি জানিয়েছে, জেরায় অুব্রতর মেয়ে সুকন্যা জানিয়েছেন সম্পূর্ণ উলটো কথা। তিনি ইডির তদন্তকারীদের জেরার মুখে বলেছেন, বাবার ব্যবসার ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। আমাকে বাবা যেখানে সই করতে বলতেন করে দিতাম।
ওদিকে বাবা ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে কোটি কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে ইডি তা নিয়েও বিপাকে অনুব্রত। মোট প্রায় ১২.৫ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অনুব্রতর দাবি, ব্যবসা ও জমির দালালি করে এই টাকা পেয়েছেন তিনি। তবে তার কোনও নথি তিনি দেখাতে পারেননি। অনুব্রত বলেছেন, তাঁর আয়করের ব্যাপারে বিস্তারিত জানেন মণীশ কোঠারি। কিন্তু ইডির জেরায় নগদ লেনদেনের দায় নেননি তিনি। ফলে যাবতীয় দায় এসে চাপছে অনুব্রতর ওপর।
পরিস্থিতি এমন দিকে গড়াচ্ছে যাতে অনুব্রতর সব থেকে ঘনিষ্ঠদের বয়ানই অনুব্রতর কাছে বিপদ হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতিতে জামিন তো দূর অস্ত, অনুব্রতর আসানসোলে ফেরাই কার্যত অসম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।