গরুপাচারকাণ্ডে CBI-এর হাতে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারিতে মুখ খুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গ্রেফতার তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির কাছে তাঁর অনুরোধ, ‘যাদের নির্দেশে এই কাজ করেছেন, সেই নামগুলো দয়া করে বলে দিন।’
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। যে হাটে মাগুর মাছ বিক্রি করত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সে আজকে ১,০০০ কোটি টাকার মালিক। এতো মমতা ব্যানার্জির সৃষ্টি’।
রাষ্ট্রপতির কাছে অনুব্রত নিয়ে নালিশ বঙ্গ–বিজেপির, পরদিনই গ্রেফতার করল সিবিআই
অনুব্রতর কাছে শুভেন্দুর আবেদন, ‘আমি আশা করব এই অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকেরা কাদের নির্দেশে গরু, কয়লা, বালি পাচার করেছে এবং বিরোধী দলের লোকেদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপরে পুরো বীরভূম জেলায় যে অত্যাচার করেছেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কয়েক হাজার লোককে ঘরছাড়া করা, বেশ কিছু মানুষকে খুন করা, কার নির্দেশে কার ইন্ধনে হয়েছে? আশা করব, তিনি যার যার নির্দেশে করেছেন, আর মুড়ির টিনে করে যাদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নামগুলো দয়া করে বলে দেবেন’।
দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার, এখনই লোকসভা নির্বাচন হলে কটা আসন পাবে দল? গোপন সমীক্ষা তৃণমূলের
বুধবার সিবিআইয়ের দশম হাজিরা এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গোটা বাড়ি তল্লাশি করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। এর পর তাঁকে নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দিয়েছে কনভয়। সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে চার্জশিটে তাঁর নামের উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিবিআইয়ে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি। এমনকী বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা পৌঁছলে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন অনুব্রত।