বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > কেষ্টর জামিন হোক চায় না তৃণমূলই? প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে আদালতের পর্যবেক্ষণ

কেষ্টর জামিন হোক চায় না তৃণমূলই? প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে আদালতের পর্যবেক্ষণ

অনুব্রত মণ্ডল।

গত অগাস্টে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর জল্পনা শুরু হয় তবে কি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরতে চলেছেন তিনি? কিন্তু তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় অনুব্রতকে পদ থেকে সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের।

তৃণমূল ও প্রশাসনের অপরিনামদর্শিতাতেই জামিনের আবেদন খারিজ হল অনুব্রত মণ্ডলের। বুধবার অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ যে পর্যবেক্ষণ লিখেছেন তাতে স্পষ্ট হচ্ছে এই তত্ত্বই। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে, মুখে অন্য কথা বললেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বই কি চায় অনুব্রত জেলে থাকুক?

বুধবার অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, অনুব্রত এখনও রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী পদে রয়েছেন। এই পদের অপব্যবহার করেই তিনি বাংলাদেশে গরুপাচারে সহযোগিতা করতেন। গ্রেফতারির পর পদাধিকারবলে তিনি নানা সাক্ষীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। এমনকী মামলার গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফলে তাঁকে জামিন দিলে মামলা প্রভাবিত হতে পারে।

বিচারপতিরা উল্লেখ করেছেন, অনুব্রতর প্রশাসনিক প্রভাবও নেহাত কম নয়। যে ভাবে দেড় বছরের পুরনো একটি মামলায় রাতারাতি তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের হল। আর আর পুলিশ কোনও তদন্ত না করে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করতে ছুটল তা সন্দেহের উদ্রেক করে। এখানেই শেষ নয়, পুলিশ হেফাজতে ৭টা দিন কাটিয়েও এসেছেন তিনি।

বলে রাখি, গত অগাস্টে অনুব্রতর গ্রেফতারির পর জল্পনা শুরু হয় তবে কি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরতে চলেছেন তিনি? কিন্তু তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় অনুব্রতকে পদ থেকে সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের। কিন্তু এতে সিবিআইয়ের পক্ষে অনুব্রতকে প্রভাবশালী প্রমাণ করতে সুবিধা হবে তা কি জানত না তৃণমূল নেতৃত্ব?

গত মাসে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা রুখতে যে ভাবে তাঁকে নিয়ম ভেঙে রাতারাতি গ্রেফতার করানো হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন আইনজ্ঞরা। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, এই ঘটনার জেরে অনুব্রতর জামিন আটকে যেতে পারে। বুধবার তাদের অনুমানই সত্যি হল। অনুব্রতকে যে দিল্লি নিয়ে যাওয়া রুখতেই তাঁকে পরিকল্পনামাফিক গ্রেফতার করানো হয়েছিল তা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর আইনজীবী তথা বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। আইনজ্ঞরা বলছেন, তার পরও কেষ্ট জামিন পেলেই বরং অবাক হতে হত।

 

বন্ধ করুন