অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘পার্টি যদি বলত তুমি যেও না তাহলে পিজি হাসপাতাল থেকে একটা রিপোর্ট ইজি করে দেওয়া যেত।’ প্রশ্ন উঠছে, তাহলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের চাপ দেওয়ার যে অভিযোগ উঠছে তা কি সত্যি বলে মেনে নিলেন মদনবাবু?
এদিন মদন মিত্র বলেন, ‘আমি দেখেছি আমার পার্টির সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেকেন্ড ইন কম্যান্ড বলেছেন যে আমরা কোনও অসততা বা দুর্নীতিকে সমর্থন করব না। গরু অনেক বড় ব্যাপার। ওটা কী করে পাচার করে কাঁধে তুলে আমার কোনও আইডিয়া নেই। তবে আমি খবরের কাগজে দেখেছি যে তিনি অসুস্থ। ও যেতে পারেনি, আজকে ওকে গ্রেফতার করেছে। এর পর দেখা যায়’।
অনুব্রত গ্রেফতার হতেই আছড়ে পড়ল জনরোষ, রাস্তার ২ পাশে উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান
বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘তবে আমি এটা বলতে পারি, বল গড়াতে শুরু করেছে। আর হঠাৎই বিজেপি বলতে শুরু করেছে ডিসেম্বরে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে করে দেবে। বিধানসভায় আমাদের ২২০ জনের ওপরে বিধায়ক রয়েছে। তাদের কি প্রত্যেককে গ্রেফতার করবেন। তাদের কি প্রত্যেককে কেস দেবেন? না কি তারা প্রত্যেকে দুর্ঘটনায় মারা যাবে? না কি তারা আত্মহত্যা করবে’?
এর পরই অনুব্রতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘আমাকে যতবার সিবিআই – ইডি ডেকেছে প্রতিবার সহযোগিতা করেছি। আমাদের দল কিন্তু কাউকে বলেনি সিবিআই ডাকলে যাবে না। কিন্তু অনুব্রত কেন যাননি তিনিই বলতে পারবেন। ডেকেছিলেন, অনুব্রত যেতেই পারতেন। পার্টি যদি বলত তুমি যেও না তাহলে পিজি হাসপাতাল থেকে একটা রিপোর্ট ইজি করে দেওয়া যেত। পার্টি যদি মনে করত যে অনুব্রত এত অসুস্থ যে যেতেই পারবে না। সেখানে পিজি বলেছে স্থিতিশীল’।
অনুব্রতর গ্রেফতারির খুশিতে তাঁরই দেওয়া দাওয়াই নকুলদানা, গুড়-বাতাসা বিলি BJP-র
প্রশ্ন হল, কার শারীরিক অবস্থা সিবিআইয়ে হাজিরা দেওয়ার মতো, আর কার নয়, এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তো চিকিৎসকদের। এব্যাপারে তৃণমূল কী মনে করল তার গুরুত্ব কতখানি? তার মানে কি তৃণমূল নেতাদের মতে চাপের মুখে চিকিৎসকদের দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানো হয় বলে গত কয়েকদিন ধরে যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তা সত্যি বলে মেনে নিলেন মদন মিত্র? ইতিমধ্যে এব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে SSKM হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মদনের বক্তব্যে স্পষ্ট হল, আদালতের পর্যবেক্ষণ নির্ভুল।