বৈদিক ভিলেজে বিজেপির তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির। একেবারে বিলাসবহুল ব্যাপার। আর সেখানেই ডাক পাননি প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা। আর তারপরই কি রেগে গিয়ে তাঁর নিশানায় খোদ দলেরই রাজ্য সভাপতি? এতদিন তিনি বিজেপির অন্য নেতাদের নিশানা করতেন। এবার তাঁর নিশানায় সুকান্ত মজুমদার।
একেবারে নজিরবিহীন আক্রমণ। কখনও বলছেন ব্যক্তিত্বহীন, কখনও বলছেন দো আঁশলা।
অনুপমের তোপ, সভাপতি যদি সংগঠনবাবুদের কথায় ওঠেন আর বসেন তাহলেই মুশকিল। আর সেটাই হচ্ছে।দো আঁশলা লোক দিয়ে সংগঠন চলবে না।
কিন্তু বৈদিক ভিলেজে কেন ডাক পেলেন না অনুপম? তাঁর যুক্তি রাজ্য বিজেপির সংগঠনে কোথায় কোথায় খুঁত রয়েছে সেগুলো তুলে ধরব, সেই কারণেই আমাকে ডাকা হয়নি।
এখানেই প্রশ্ন তবে কি সুকান্তর কলকাঠিতেই ডাক পেলেন না অনুপম? কিন্তু সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে হাতে গরম একাধিক ইস্যু। এভাবে ঘরোয়া ঝগড়াকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কি অল আউট আক্রমণ সম্ভব?
বোলপুরের বাইক মিছিল আয়োজনেও যে সুকান্ত ফ্লপ খেয়েছেন সেকথাও বেশ ঢাক পিটিয়েই বলেছেন অনুপম। তাঁরই এলাকায় মিছিল অথচ তাঁকেই ডাকা হয়নি বলে দাবি অনুপমের। এর সঙ্গে তৃণমূল বার বার অভিযোগ তোলে বিজেপি বহিরাগত লোকজনকে নিয়ে মিছিল করে। সেই অভিযোগটাকেই যেন এদিন শিলমোহর দিলেন অনুপম।
তবে এভাবে রাজ্য সভাপতিকে সরাসরি আক্রমণ জেরে বেজায় খুশি সুকান্ত বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যরা। কার্যত অনুপমকে ঢাল করে ঢিল যে অব্যর্থ নিশানায় লেগেছে সেটাও বুঝেছেন তাঁরা। তবে এবার সেই ঢিলের জবাবে সুকান্ত শিবির থেকে কোন পাটকেল ছোঁড়া হয় সেটাই দেখার।