দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের দলে আসার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অনুপম হাজরা। তাঁর মন্তব্যকে সরাসরি দলবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। পালটা শমীকবাবুকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করলেন অনুপম। প্রশ্ন তুললেন, কী করে কেন্দ্রীয় নেতার সমালোচনা করতে পারেন কোনও রাজ্য নেতা।
সোমবার বীরভূমে এক জনসভায় অনুপম হাজরা বলেন, ‘যদি মনে হয় আমি আগে দস্যু বাল্মিকী ছিলাম, আমি আগে ডাকাতি করতাম, এখন সাধু হব তো বিজেপির রাস্তা খোলা আছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা, যাদের মনে হচ্ছে রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন, একটা বিড়ি তিনবার খেতেন, এখন স্করপিও গাড়ি চড়ছেন। হাতে মোটা সোনার চেন। গলায় গরু বাঁধার চেনের মতো সোনার চেন। যাদের মনে হচ্ছে যে কোনও সময় ইডি - সিবিআই আসতে পারে তাদের খোলা মঞ্চে আহ্বান জানাই। চুরিটা এখন থেকে বন্ধ করুন। আর আমার ফেসবুকে একটা নম্বর দেওয়া আছে, যদি সামনে এসে বিজেপি জয়েন করতে বলতে লজ্জা লাগে, কানে কানে এসে বলে যান। আমরা দেখব, আপনাদের কী ভাবে কাজে লাগানো যায়।’
অনুপমের মন্তব্যের জবাবে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এরকম দুর্নীতিগ্রস্তদের হয়ে দালালি করার অধিকার বিজেপির কোনও পর্যায়ের কোনও নেতৃত্ব দেয়নি। এটা সম্পূর্ণ দলবিরোধী অবস্থান। বিজেপি কোনও সংশোধনাগার নয়, কোনও কোঠাবাড়িও নয় যে যার যখন ইচ্ছা চলে আসবে। আর বিজেপিও কোনও দালালকে দায়িত্ব দেয়নি দলে নিয়ে আসার’।
জবাবে সোমবার মধ্যরাতে অনুপম সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘বিজেপির সংবিধানটা যারা ভালো করে পড়েছেন তাঁদের কাছে আমার একটা সরল প্রশ্ন, রাজ্যের একজন মুখপাত্র বা রাজ্য স্তরের কোনও নেতার কি পার্টির সর্বভারতীয় বা কেন্দ্রীয় সম্পাদকের বা যে কোনও কেন্দ্রীয় নেতার মন্তব্যের মূল্যায়ণ করার এক্তিয়ার রয়েছে? যদি কেউ মাঝে মাঝেই সেটা করে থাকেন, তাহলে আমি যতদূর জানি, সেটা বিজেপির সংবিধান বা প্রোটোকল বিরোধী। ঠিক যেমন ভাবে একজন OCর একজন SPর কাজকে অ্যাসেসমেন্ট করার বা মন্তব্য করার এক্তিয়ার নেই। যদি কিছু ভুল বলে থাকি শুধরে দেবেন।’
অনুপমের এই পোস্টের পর রাজ্য বিজেপির সঙ্গে অনুপমের বিবাদ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, অনুপমের নামে শীর্ষনেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।